টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপের চতুর্থ দফায় আরও একদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। র্যাবের রিমান্ড আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে র্যাব-১৫ হেফাজত থেকে প্রদীপকে কক্সবাজার আদালতে নেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাস। তিনি জানান, দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে প্রদীপকে তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রদীপের আরেক দফা রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে গত শুক্রবার তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে নেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যা ব। তাদের মধ্যে রোববার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন লিয়াকত। আজ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিচ্ছেন নন্দদুলাল।
প্রসঙ্গত গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
সিনহা হত্যা মামলার ১৩ আসামি রয়েছেন। তারা হলেন– টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য– এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ এবং টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আইয়াস।
রিমান্ড শেষে এপিবিএনের তিন সদস্য কয়েক দিন আগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা তিনজন জেলা কারাগারে অবস্থান করছেন। ঘটনার সময় এপিবিএনের তিন সদস্য শামলাপুর তল্লাশিচৌকির দায়িত্বে ছিলেন।