দুই বছরের মধ্যে করোনাভাইরাস মহামারির শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ১৯১৮ সালে দেখা দেওয়া স্প্যানিশ ফ্লুকে পরাস্ত করতে দুই বছর লেগেছিল। প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে এখন তুলনামূলক ‘কম সময়ের মধ্যেই’ বিশ্ব করোনাভাইরাসকে হটাতে সক্ষম হবে বলেও ধারণা তার।
“অবশ্যই, ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে সেটিকে থামানোর প্রযুক্তি ও জ্ঞান আছে ,” বলেছেন গেব্রিয়েসুস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ মহাপরিচালক মহামারী মোকাবেলায় ‘জাতীয় ঐক্য, বৈশ্বিক সংহতির’ উপরও জোর দিয়েছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
১৯১৮ সালের প্রাণঘাতী স্প্যানিশ ফ্লুতে বিশ্বজুড়ে অন্তত ৫ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আর নতুন করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৮ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে; শনাক্ত রোগী পৌঁছে গেছে দুই কোটি ৩০ লাখের কাছাকাছি।
ব্রিফিংয়ে গেব্রিয়েসুস বিভিন্ন দেশে ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই) নিয়ে যেসব দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তা নিয়েও হতাশা ব্যক্ত করেন।
“যে কোনো ধরনের দুর্নীতিই অগ্রহণযোগ্য। তারমধ্যে পিপিই নিয়ে দুর্নীতি। আমার কাছে এটি হত্যাকাণ্ডের মতো ব্যাপার। কেননা, যদি স্বাস্থ্য কর্মীরা পিপিই ছাড়া কাজ করেন, তাহলে তাদের এবং তারা যাদের সেবা দেবেন তাদেরও জীবন ঝুঁকিতে পড়বে,” বলেছেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় পিপিই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার তৈরি হলেও, বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৬০ জন। তাদের মধ্যে ৩,৮৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন।