মার্চে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের খবর প্রচার হয়, তখনই মাসের শেষভাগে সবার মতো নিজেও কোয়ারেন্টিনে চলে যান জেমস। করোনার কারণে থেমে যায় সংগীতের সব কার্যক্রম, স্বাভাবিকভাবে জেমস নিজেও সময়টাকে নিজের মতো করে ব্যবহার করেন। তবে এই সময়টায় তিনি ছিলেন না কোনো সংবাদে। ভক্তরা পাচ্ছিলেন না তেমন কোনো খবর।
তবে পাঁচ মাস পর জেমস দেখা দিলেন যে চেহারায়, সেটায় ভক্তরা ধাক্কা খেল? এমন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। জেমসের চেহারায় বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়েছে। সময়ের সঙ্গে বয়সের ঘরে যে দিনক্ষণ জমা হচ্ছে, তা হয়তো প্রকাশিত নতুন এই ছবিতে স্পষ্ট হলো। তবে ভক্তরা তাদের প্রিয় গায়ককে বরাবরের মতোই রহস্যময় হিসেবে নিলেন।
দীর্ঘ পাঁচ মাস পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন নতুন লুকের একটি ছবি। জেমস অবস্থান করছেন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে রাজধানীর নিজস্ব ফ্ল্যাটেই। হোম স্টুডিওতে করছেন নিয়মিত জ্যামিং।
২০১৭ সালে প্রকাশ হয় জেমসের গাওয়া শেষ গান ‘তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম’। ‘সত্তা’ ছবির এই গানটির জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও জয় করেছেন। অন্যদিকে তাঁর প্রকাশিত শেষ অ্যালবাম ছিল ‘কাল যমুনা’। সেটি প্রকাশ পেয়েছিল ১২ বছর আগে।
চট্টগ্রাম থেকে হোটেলে গাওয়া বাদ দিয়ে ১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন জেমস। এসে প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’ প্রকাশ করেন। এর পরই আসিফ ইকবালের লেখা ‘অনন্যা’ জেমসের প্রথম একক অ্যালবাম। যেটা বের হয় ১৯৮৭ সালে। যার প্রতিটি গানই অসাধারণ। বিশেষ করে ‘অনন্যা’ কিংবা ‘ওই দূর পাহাড়ে’ গানগুলো বুকের মাঝে সত্যিই কাঁপন জাগায়। তবে এই গান শুনে কারো পক্ষে ধারণা করা সম্ভব হবে না যে গানটি জেমস গাইছেন।
তারপর লতিফুল ইসলাম শিবলীর লেখা ‘জেল থেকে বলছি’। এসব গান জেমসকে এক শ্রেণির শ্রোতার কাছে পৌঁছে দেয়, যারা আজও জেমসকে আঁকড়ে ধরে রয়েছেন, আর সময়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভক্তরা।