The news is by your side.

এবার নেতানিয়াহুর ‘নজর’ কি সিরিয়ায়!

0 253

 

আবার সিরিয়ার আকাশহানা ইজ়রায়েলের। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী দামাস্কাসের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের অদূরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ইজ়রায়েলি প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু দ্রুজ় জনগোষ্ঠীকে কট্টরপন্থীদের হামলা থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যেই এই সামরিক অভিযান।

সিরিয়ায় বসবাসকারী একটি সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত দ্রুজ়। ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে তারা ইসলাম ধর্মের একটি শাখা হিসেবে নিজেদের দাবি করে। কিন্তু অতীতে আল কায়দা, আইএস-সহ বিভিন্ন কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনের নিশানা হয়েছে দ্রুজ় জনগোষ্ঠী। সিরিয়া ছাড়াও লেবানন ও ইজ়রায়েলে এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। তবে দ্রুজ়দের রক্ষার অজুহাত দেওয়া হলেও সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, প্রতিবেশী দেশে গৃহযুদ্ধ এবং ক্ষমতার পালাবদলের জেরে অনিশ্চয়তায় সুযোগ সদ্ব্যবহার করতে সক্রিয় হয়েছেন নেতানিয়াহু।

গত ডিসেম্বরে সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর যোদ্ধাবাহিনীর রাজধানী দামাস্কাস দখল এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটেছিল। আসাদ সপরিবার পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন মিত্র দেশ রাশিয়ায়। তার পরেই সিরিয়ায় বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। হামলায় সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সেনা শিবির, প্রতিরক্ষা গবেষণাগার এবং সামরিক কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছিল। এর মধ্যে বিমানবন্দর, অস্ত্র ও গোলাবারুদের ভান্ডার, রেডার স্টেশন, সামরিক সিগন্যাল স্টেশন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ও গণবিধ্বংসী অস্ত্রের গবেষণাগার ছিল।

এইচটিএস বাহিনী যাতে অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তির নাগাল না পায়, তা নিশ্চিত করতেই তেল আভিভের এই ‘তৎপরতা’ বলে মনে করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে সিরিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট হেরমন এবং গোলান মালভূমির কিছু অংশও সে সময় নেতানিয়াহুর বাহিনী দখল করেছিল। ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর সিরিয়া ও ইজ়রায়েল সীমান্তে বাফার জ়োন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ডিসেম্বরে সিরিয়ায় ক্ষমতার পালাবদলের পরে একতরফা ভাবে সেই বাফার জ়োন দখল করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। এ বার কি তাদের লক্ষ্য রাজধানী দামাস্কাস?

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.