The news is by your side.

নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কারের কোন বৈধতা দিতে পারবো না: মির্জা ফখরুল

0 14

 

গণতন্ত্র ফেরাতে ‘বিভেদ নয়, ঐক্যের’ আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচিত সংসদ ও নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনও সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারবো না।

বৃহস্পতিবার একটি গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যেন বিভক্তির রাজনীতি না করি। এখন যেটা প্রয়োজন দেশকে বাঁচানোর জন্য, গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য, আমাদের প্রয়োজন ঐক্য….স্ট্রাকচার তৈরি করেন… সংস্কার অবশ্যই লাগবে।’

‘কিন্তু সেই সংস্কারটা হচ্ছে যে এর পেছনে যে শক্তিটা লাগবে সেটা হচ্ছে নির্বাচিত পার্লামেন্ট, নির্বাচিত সরকার… এটা ছাড়া সংস্কারকে কখনও লেজিটেমেসি দিতে পারবো না আমরা। এটা ফ্যাসিস্টরা পারবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মিথ্যা মামলার শুনানিকালে আদালতে দেওয়া তার জবানবন্দির ওপর রচিত ‘রাজবন্দির জবানবন্দি’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

আদালতে খালেদা জিয়া যেসব জবানবন্দি দিয়েছেন তাকে গ্রন্থে রূপ দিতে নেপথ্যে বিএনপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুর রেজ্জাক খান, সাংবাদিক শফিক রেহমান ও খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব সাংবাদিক মারুফ কামাল খানের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথাও স্মরণ করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানাবো দেশের সব গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষদের, স্বাধীনতাকামী মানুষদের, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন… বিভাজিত হবেন না। আমি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের যারা যে যেখানে কাজ করছেন, সবাইকে অনুরোধ করবো বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’

‘আমি জানি না কিছু মানুষ একেবারে যেন ডেসপারেট হয়ে গেছে যে তারা দেশকে ভাগ করে ফেলবে, জনগণকে বিভক্ত করবে এবং বিভিন্ন রকম কথা বলছে, বিভিন্ন রকম উসকানিমূলক কথা বলছে…। আপনারা দয়া করে ওগুলোর মধ্যে যাবেন না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব মুক্ত হবেন কিছু দিনের মধ্যে পুরোপুরি সব মামলা থেকে… তিনিও আমাদের মাঝে উপস্থিত হবেন ইনশাআল্লাহ।’

‘আমাদের যে ত্যাগ, আমাদের জনগণের, আমাদের ‍যুবকদের, আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের, আমাদের ছাত্রদের, আমাদের মহিলাদের… এটা কোনোমতেই বৃথা যাবে না, বৃথা যায়নি। আমরা অন্তত ফ্যাসিবাদকে সরাতে পেরেছি, ওদের তাড়াতে পেরেছি…।’

তিনি বলেন, ‘হাসিনা পালানোর পর থেকে আমরা কেন জানি নিজেদের মধ্যে পুরো বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারছি না, ঐক্যের জায়গাটাতে থাকতে পারছি না। দেখুন না কী একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্য। আরে ক্ষমতায় তো টিকে থাকবে তখনই, যখন তুমি এটাকে সেটেল করতে পারবে… তার জন্য আমরা বারবার বলছি সংস্কার… এই সংস্কার তো আমরাই শুরু করেছি, প্রথম সংস্কারের কথা বলেছি। জিয়াউর রহমান সাহেব প্রথম সংস্কার করেছেন— একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন।’

‘এই যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা… মাত্র চারটা ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল… জিয়া্‌উর রহমান সাহেব এসে সব সংবাদপত্র খুলে দিয়েছিলেন। একটা বদ্ধ অর্থনীতি ছিল, সেখানে তথাকথিত ভ্রান্ত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিকে বাদ দিয়ে তিনি একটা মিশ্র বা মুক্ত অর্থনীতির মতবাদ নিয়ে এসেছিলেন। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের যে দর্শন সেই দর্শন, ইটসেলফ সংস্কারের মূল মূলকথা এবং ১৯ দফা কর্মসূচি ছিল সংস্কারের বড় কর্মসূচি। আমাদের এগুলো সামনে নিয়ে আসতে হবে।’

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.