The news is by your side.

মাইক ওয়াল্টজকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প

0 14

 

রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইক ওয়াল্টজকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক আর্মি গ্রিন বেরেট ও ট্রাম্পের বিশ্বস্ত এই নেতাকে নিয়োগের মাধ্যমে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের কর্মকাণ্ডের একজন কড়া সমালোচককে এই দায়িত্বে আনা হয়েছে।  বিষয়টি জানে এমন দুটি সূত্র সোমবার (১১ নভেম্বর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।

ন্যাশনাল গার্ডে কর্নেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়াল্টজ। বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে এই অঞ্চলে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন তিনি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভূমিকা অত্যন্ত ক্ষমতাধর, যা নির্ধারণে সেনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হয় না।

২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে বাইডেন প্রশাসনের নিন্দা জানিয়ে, ওয়াল্টজ ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতির প্রশংসা করেছিলেন।

ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক অঙ্গনে ওয়াল্টজের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি ডিফেন্স সেক্রেটারি ডোনাল্ড রামসফেল্ড এবং রবার্ট গেটসের জন্য প্রতিরক্ষানীতি পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন এবং ২০১৮ সালে কংগ্রেসে নির্বাচিত হন। তিনি সামরিক রসদ তদারকির হাউজ আর্মড সার্ভিসেস উপকমিটির চেয়ারম্যান এবং গোপনীয়তা বিষয়ক নির্বাচিত কমিটিতেও রয়েছেন।

রিপাবলিকানদের চীন টাস্ক ফোর্সেও ওয়াল্টজ রয়েছেন। তবে ইউক্রেন ইস্যুতে তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে। ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর তিনি বাইডেন প্রশাসনকে কিয়েভে আরও অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানান। কিন্তু গত মাসে এক অনুষ্ঠানে তিনি ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যগুলো পুনঃমূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

ওয়াল্টজ ট্রাম্পের ন্যাটো মিত্রদের আরও প্রতিরক্ষা ব্যয়ে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন, যদিও ট্রাম্পের মতো যুক্তরাষ্ট্রকে জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করেননি।

ফ্লোরিডার কংগ্রেস সদস্য হিসেবে তিনি বর্ণবাদের বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু তত্ত্ব শিক্ষার বিরুদ্ধে থাকা একটি রক্ষণশীল আন্দোলনের সামনের সারিতে রয়েছেন এবং এ বিষয়ে সামরিক কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন। এর আগে ওয়াল্টজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদের জন্যও বিবেচিত হয়েছিলেন।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে সামরিক নেতাদের বিষয়ে আরও কঠোর মনোভাব প্রত্যাশিত। কারণ ন্যাটো নিয়ে তার সংশয় থেকে শুরু করে মার্কিন রাস্তায় প্রতিবাদ দমনে সেনা মোতায়েনের তার প্রস্তুতি পর্যন্ত নানা বিষয়ে পেন্টাগনের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। বাইডেন প্রশাসনের অধীনে সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক করার জন্য ট্রাম্প সমালোচনা করেছেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.