পুজো মানেই অঞ্জলির ফুল ভাললাগার মানুষ ছুঁয়ে যাওয়া। শারদীয়ার এই আকর্ষণ একুশ শতকেও অমোঘ।
এ বছরের পুজো ফ্যাশনের শুট করতে এসে প্রেম ভাব বুঝিয়ে দিলেন পর্দার ‘বিক্রম’, ‘ঝিলিক’। বাস্তবে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কৌশানী মুখোপাধ্যায়।
নায়িকা অভিষেক রায়ের ভাবনায় সাজে তাক লাগলেন! রানিরঙা সিল্কের শাড়ি পরে দাঁড়াতেই তাঁকে দেখে মুগ্ধ শিবপ্রসাদ। নায়কই বেছে নিয়েছিলেন সাদা পাঞ্জাবি। তাতে রানি রঙের সুতোর ফুল। আর সাদা চোস্ত।
এই সাজে এসেই তড়িঘড়ি কাছে টেনেছেন নায়িকাকে! যেন চোখে হারাচ্ছেন। পাছে কৌশানী বেহাত হয়ে যান?
ই সাজ কোন দিনের উপযুক্ত?
দুই তারকার একযোগে উত্তর, “সপ্তমীতে সাদা রং মানায় ভাল। যেন কাশ ফুল কাশ ফুল আমেজ। তাতে লালের ছোঁয়া মানেই উৎসবের শুরু। এই সাজ আমাদের পছন্দ।”
অষ্টমী মানেই মহাসাজ। সব আলো যেন তাদের ঘিরে থাকে…. এমন মন নিয়ে সাজবদল দু’জনের। কৌশানী উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন হলুদ কাতান সিল্ক শাড়িতে। শিবপ্রসাদ সঙ্গত করলেন তসরের হলুদ পাঞ্জাবি, ধুতিতে।
নতুন সাজে ক্যামেরার সামনে এসে দু’জনেই হারিয়ে গেলেন একে অন্যের চোখে। ‘বিক্রম’-এর হাত ‘ঝিলিক’-এর কোমরে। ঘোর লাগা স্বরে শিবপ্রসাদ খুনসুটি, “তুমি কি আরও একবার গালে ঠোঁট ছোঁয়াবে?” শুনেই টকটকে লাল কৌশানী!
কপট রাগে নায়ককে ঠেলে দূরে সরানোর চেষ্টা। কিন্তু এত সহজে কি বাঁধন ছাড়ানো যায়?
এ ভাবেই অস্থির সময়েও এক মুঠো প্রেম ছড়িয়ে গেলেন তাঁরা। শিবপ্রসাদ বললেন, “প্রেম, রহস্য, লড়াই, আবেগ– সব থাকছে উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার এ বারের পুজোর ছবিতে। কেবল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষা”!
চায়ে চুমুক শিবপ্রসাদের। নায়িকাকে চোখে হারাচ্ছেন? জবাব এল, “মা ‘আজ বসন্তের গায়ে হলুদ’ দেখে স্ত্রীকে ডেকে বলেছে, ‘ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দে’। শুনে দুষ্টু হেসে নায়িকার প্রশ্ন, “কবে ঘরে তুলছ?”