এম. নজরুল ইসলাম
বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে নিয়েও স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। তাঁর চোখে স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। তিনি শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে চার যুগেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয় তিনি। তাঁর হাত ধরে বাংলাদেশের ইতিবাচক সব অর্জন। ১৯৮১ সালে, যখন জান্তার বুটের তলায় পিষ্ট প্রিয় স্বদেশ, তিনি এসেছিলেন অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে। সেই থেকে জনকল্যাণের কঠোর ব্রত সাধনায় তাঁর দীর্ঘ পথচলা। বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। পায়ে পায়ে পাথর সরিয়ে দেশের মানুষের জন্য তৈরি করেছিলেন গণতন্ত্রের এক শক্ত ভূমি। সেই পবিত্র ভ‚মি আজ আবার অপশক্তির দখলে। আজ তিনি আবার পরবাসে।
১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার অপপ্রয়াস কম হয়নি। সেই অবস্থা থেকে আজকের উত্তরণে যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি শেখ হাসিনা। তাঁর সাহসী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হয়েছে। সেই অবস্থা থেকে আজকের উত্তরণে যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি শেখ হাসিনা। তাঁর সাহসী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হয়েছে। নেতিবাচক অবস্থান থেকে বিশ্বে ইতিবাচক দেশ হিসেবে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার অপপ্রয়াস কম হয়নি। যেমনটি এখন আবার নতুন করে চলছে। অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি ’চেপে বসা অপশক্তি’ আজ আবার বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতা বিপন্ন করে তুলেছে।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি যে প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে চলেছেন, এককথায় তা তুলনাহীন। তিনি দেশের ভবিষ্যতের জন্য উৎসর্গ করেছেন নিজের বর্তমান। ব্যক্তিগতভাবে বর্তমানকে ভোগ করেন না তিনি। তিনি যেমন চেনেন বাংলার শ্যামল প্রকৃতি। তেমনি বাংলার মানুষ চেনে তাঁকে। বাঙালির সঙ্গে নিবিড় যোগসূত্র তাঁর জন্মান্তরের। দেশের মানুষের আস্থা ও অস্তিত্বে তাঁর স্থায়ী আসন। মানুষের পাশে থাকেন সবসময়। তাঁর চিন্তা ও চেতনায় কেবলই বাংলাদেশ ও দেশের মানুষ। তাঁর স্বপ্নের আঙিনায় যে সবুজ মানচিত্রটি আঁকা, সেটি বাংলাদেশের।
এদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক তিনি। বাংলাদেশ আজকের রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের অগ্রনায়ক তিনি। স্বাভাবিকভাবেই, বলার অপেক্ষা রাখে না, তাঁকে ঘিরেই সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। আজ পেছন ফিরে তাকালে দেখতে পাই, তিন যুগ আগে জনক্যলাণের ব্রত সাধনার মন্ত্রে নতুন দীক্ষা নিয়ে তিনি পিতৃভ‚মিতে পা রেখেছিলেন। তাঁর আত্মার আত্মীয় বাংলার মানুষ হার্দিক উষ্ণতায় তাঁকে বরণ করে নিয়েছিল। আকাশ ভাঙা বৃষ্টির মধ্যে তিনিও তো সেদিন ভেসে গিয়েছিলেন আবেগের অশ্রতে। নিজেকে উজাড় করে দিয়ে তিনি আজ মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির মূর্ত প্রতীক। নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে পা রাখার পর দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদন করে তিনি পায়ে পায়ে মাড়িয়েছেন পথের পাথর। পাথেয় করেছেন আজীবনের দীক্ষা কল্যাণব্রত। ফলে কোনোকিছুই তাঁর চলার পথ রুদ্ধ করতে পারেনি। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে তিনি সংসদে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হন। বসেন বিরোধীদলীয় নেত্রীর আসনে। ১৯৮৮ সালে পদত্যাগ করেন, জনস্বার্থে। তারপর যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রাম। তাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে কয়েকবারÑচট্টগ্রামে, কোটালিপাড়ায়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। প্রতিবারই বাংলার মানুষের ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়েছে শত্রæ। তারপরও ষড়যন্ত্র কম হয়নি তাঁকে নিয়ে। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করাটাও ছিল গভীর এক ষড়যন্ত্র ।
১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হয়ে দেশে ফিরে আসার পর থেকে ১৯৮৩, ১৯৮৫, ১৯৯০ ও ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর ক্লান্তিহীন পথরেখায় কোনো ছেদচিহ্ন পড়েনি। তিনি শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা তিনি। বাংলাদেশের মানুষের আশা, ভরসা ও বিশ্বাসের কেন্দ্রে তিনি।
কল্যাণমন্ত্রে যাঁর দীক্ষা, রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘মানুষের ধর্ম’ যিনি ধারণ করেন হৃদয়ে, জনগণের সেবা যাঁর ব্রত, তিনিই তো অমৃতের সন্তান। সামরিকতন্ত্র ও ‘কার্ফিউ গণতন্ত্রে’র দেড় দশকের দুঃশাসন এবং গণতন্ত্রের নামে দুই দফায় এক দশকের অপশাসনের মূলোৎপাটন করে যিনি বাংলাদেশকে আজ নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। আজকের বাংলাদেশকে নিয়ে তাই উ”ছ¡সিত সারা বিশ্ব। একটা সময় ছিল, যখন বাংলাদেশকে নিয়ে সংশয় ছিল সারা বিশ্বের। সেই অবস্থা থেকে আজকের উত্তরণে যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি শেখ হাসিনা। তাঁর সাহসী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হয়েছে। নেতিবাচক অবস্থান থেকে বিশ্বে ইতিবাচক দেশ হিসেবে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
নিষ্পিষ্ট গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি বিদেশের নিশ্চিত জীবন ছেড়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তীকালে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে পাওয়া দুর্জয় সাহস ও অনমনীয় মানসিক শক্তি নিয়ে তিনি এগিয়ে গেছেন।
তাঁর দৃঢ়তার পরিচয় আমরা পেয়েছি ওয়ান-ইলেভেন নামের চেপে বসা শাসনামলেও। রাজনীতি থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। মিথ্যা মামলা, দীর্ঘদিনের কারাবাস তাঁকে তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচ্যূত করতে পারেনি। তিনি সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন। তাঁর এই অনমনীয় মনোভাব দেশের মানুষকে সাহস জুগিয়েছে।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যখন দেশ পরিচালনার ভার নেয়, তখন দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অনেক জঞ্জাল জমেছে। আগের বিএনপি সরকারের দুঃশাসন প্রশাসন থেকে আর্থসামাজিকÑসর্বক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করেছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই সেই জঞ্জাল দূর করতে সচেষ্ট হন। অনেকাংশে সফলও হয়েছিলেন। কিন্তু ২১ বছরের জমে থাকা জঞ্জাল তো মাত্র পাঁচ বছরে দূর করা সম্ভব নয়। ২০০৯ সালে জনগণের রায়ে দেশ পরিচালনার ভার নিয়েই নতুন উদ্যোগে যাত্রা শুরু করেন তিনি। বাংলাদেশের আজকের রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার অবদান অনস্বীকার্য। এই অর্জন ধরে রাখতে ও উন্নত দেশ হিসেবে নিজেদের তুল ধরতে তাঁর গতিশীল নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই।
‘মানুষের দায় মহামানবের দায়, কোথাও সীমা নেই। অন্তহীন সাধনার ক্ষেত্রে তার বাস।…দেশ কেবল ভৌমিক নয়, দেশ মানসিক। মানুষে মানুষে মিলিয়ে এই দেশ জ্ঞানে জ্ঞানে, কর্মে কর্মে।…আমরাও দেশের ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানকে উৎসর্গ করেছি। সেই ভবিষ্যেক ব্যক্তিগতরূপে আমরা ভোগ করব না।…ভবিষ্যতে যাঁদের আনন্দ, যাঁদের আশা, যাঁদের গৌরব, মানুষের সভ্যতা তাঁদেরই রচনা। তাঁদেরই স্মরণ করে মানুষ জেনেছে অমৃতের সন্তান, বুঝেছে যে তার সৃষ্টি, তার চরিত্র মৃত্যুকে পেরিয়ে।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কথাগুলো শেখ হাসিনার জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য। তিনি দেশের ভবিষ্যতের জন্য উৎসর্গ করেছেন নিজের বর্তমান। ব্যক্তিগতভাবে বর্তমানকে ভোগ করেন না তিনি। আর সে কারণেই তিনি যেমন চেনেন বাংলার শ্যামল প্রকৃতি, তেমনি বাংলার মানুষ চেনে তাঁকে। বাঙালির সঙ্গে নিবিড় যোগসূত্র তাঁর জন্মান্তরের। দেশের মানুষের আস্থা ও অস্তিত্বে তাঁর স্থায়ী আসন। মানুষের পাশে থাকেন সব সময়।
শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই ‘মানুষের ধর্ম’ তাঁর ব্রত। তাঁর বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সর্বজনীন ও সর্বকালীন মানব’ হিসেবে বাঙালি জাতির হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গকারী এই মহামানবের কন্যা শেখ হাসিনাও নিজেকে উৎসর্গ করেছেন মানুষের কল্যাণে। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম, পারিবারিকভাবেই তাই ‘কল্যাণমন্ত্রে দীক্ষা’ হয়েছে শৈশবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘মানুষ আছে তার দুই ভাবকে নিয়ে একটা তার জীবভাব, আর-একটা বিশ্বভাব। জীব আছে আপন উপস্থিতিকে আঁকড়ে, জীব চলছে আশু প্রয়োজনের কেন্দ্র প্রদক্ষিণ করে। মানুষের মধ্যে সেই জীবকে পেরিয়ে গেছে যে সত্তা সে আছে আদর্শ নিয়ে। এই আদর্শ অন্নের মতো নয়, বস্ত্রের মতো নয়। এ আদর্শ আন্তরিক আহŸান, এ আদর্শ একটা নিগূঢ় নির্দেশ।’ পিতৃআদর্শের সেই আন্তরিক আহŸান কিংবা নিগূঢ় নির্দেশেই সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ফিরে এসেছিলেন পিতৃভূমিতে। তিনি ছিলেন নিতান্তই একাÑএমনটি উপলব্ধি হতে পারে অনেকেরই। কিন্তু নিজ বাসভূমে মাটির সন্তানকে যে একাকীত্ববোধ গ্রাস করবে না, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল ১৯৮১ সালে। মানুষকে মুক্তির দিশা দিতে পারেন, এমন একজন মানুষের বড় প্রয়োজন ছিল তখন। ঐ সময়ের একমাত্র দাবি ছিল সেটাই। শুধু সময়ের দাবি মেটাতেই নয়, মুক্তিকামী মানুষকে নতুন করে মুক্তির দিশা দিতেই তিনি ফিরে এসেছিলেন এই বিরান বাংলায়। মানুষের স্বতঃস্ফ‚র্ত আহŸান উপেক্ষা করতে পারেননি তিনি। মানুষের আকুল আহŸান উপেক্ষা করবেন, এমন রক্তধারা তাঁর শরীরে প্রবহমান নয়। মাটির টান আর মানুষের প্রবল ভালোবাসা সেদিন তাঁকে জুগিয়েছিল অদম্য সাহস ও শক্তি। শক্তির বলেই তিনি সেদিন নিতে পেরেছিলেন সামরিকতন্ত্রকে উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত। পেছনে ফেলে এসেছিলেন নারীর নিশ্চিত সংসার। ফেলে এলেন প্রিয়তম স্বামী ও দুই সন্তান। সেদিন বাংলার মানুষ তাঁকে বরণ করে নিয়েছিল অশ্রæবৃষ্টির ভেতর দিয়ে। সেদিনের বিশাল জনসমুদ্র তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিল, তিনি একা নন। এই জাতি তাঁর সঙ্গে। জাতির সেই ভালোবাসা ও আস্থার জবাবে তিনিও জানিয়েছিলেন, বাংলার মানুষের দৈন্য দূর করতে তাঁর জীবন উৎসর্গীকৃত। সেদিন নিজেকে জাতির কাছে উজাড় করে দিয়েছিলেন তিনি। ‘কার্ফিউ’ গণতন্ত্রের ভিত্তি নাড়িয়ে দিয়ে মানুষের নতুন মুক্তির ভিত্তি রচনা হলো সেই দিন।
১৯৮৬ সালের নির্বাচনে তিনি সংসদে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হন। বসেন বিরোধীদলীয় নেত্রীর আসনে। জনস্বার্থে ১৯৮৮ সালে পদত্যাগ করলেন। তারপর যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রাম। তাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে কয়েকবারÑচট্টগ্রামে, কোটালিপাড়ায়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। বাংলার মানুষের ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়েছে শক্র। তারপরও ষড়যন্ত্র কম হয়নি তাঁকে নিয়ে। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করাটাও ছিল গভীর এক ষড়যন্ত্র । ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হয়ে দেশে ফিরে আসার পর থেকে ১৯৮৩, ১৯৮৫, ১৯৯০ ও ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আন্তর্জাতিক গুরুত্ব ও স্বীকৃতির চিহ্ন হিসাবে শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে ২২ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার পান। কৃষিতে অসামান্য অবদানের জন্য শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সেরেস পুরস্কারে ভূষিত হন। ইউনেস্কো এবার শান্তিবৃক্ষ পদকে ভূষিত করেছে তাঁকে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক অর্জন তাঁর। কিন্তু সবচেয়ে বড় অর্জন দেশের মানুষর আস্থা ও ভালবাসা। তিনি মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। মানুষ তার প্রতিদানে আবারও তাঁর দলকে ভোটের মাধ্যমে নিয়ে এসেছে ক্ষমতায়।
পরিবির্তিত পরিস্থিতিতে আজ আবার পরবাসী তিনি। কিন্তু আমরা জানি তাঁর চিন্তা ও চেতনা জুড়ে বাংলার মানুষ। মানুষের স্বপ্নের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে শিগগিরই তিনি ফিরে আসবেন পিতৃভ‚মিতে, সে অপেক্ষায় দেশের সর্বস্তরের মানুষ।
তাঁর দৃঢ়তার পরিচয় আমরা পেয়েছি ওয়ান-ইলেভেন নামের চেপে বসা শাসনামলেও। রাজনীতি থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের অগ্রনায়ক তিনি। তাঁকে ঘিরেই সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। এ দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক তিনি। আজ তাঁর জন্মদিনে আমাদের সশ্রদ্ধ প্রণতি। দীর্ঘজীবী হোন তিনি। মানুষের ভালোবাসার সম্পদে সমৃদ্ধ হোক তাঁর আগামী দিনগুলো। অমৃতের সন্তান শেখ হাসিনাকে তাঁর জন্মদিনে সশ্রদ্ধ প্রণতি।
লেখক: সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি