গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। সরকার পতনের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন জড়িত ছিল বলে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দপ্তরের উপ প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ কথা বলেন।
দপ্তরের উপ প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশের সরকার পতনের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’ এ ছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে যুক্ত প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এরই মধ্যে একমাস পার করেছে। গত ৫ আগস্ট ও তার আগে অস্থিরতার পর যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করছে? এ ছাড়া, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে চীনা প্রভাব ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করে এবং এই অঞ্চলে কোনো কৌশলগত উদ্বেগ আছে বলে মনে করছে কি না?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘দেখুন, আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত এবং আগ্রহী। কারণ এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
এ সময় বেদান্ত প্যাটেলের কাছে সাংবাদিকরা আরও জানতে চান, কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও ভারত ঐতিহাসিকভাবেই ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, এই অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি সেই রিপোর্টগুলো দেখিনি। তবে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, সেগুলো সত্য নয়। এই কারণেই হয়তো আমি সেসব রিপোর্ট দেখিনি।’