সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বস্তায় করে ঘুষ নিতেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ দিতেন তিনি বস্তা ভর্তি টাকা ঘুষ নিয়ে। শুধু তার বিরুদ্ধেই নয়, এমন অভিযোগ উঠেছে তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধেও।
এমন গুরুতর অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সংস্থাটির উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।টিমের অন্য সদস্যরা হলেন– দুদক উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, নাছরুল্লাহ হোসাইন ও মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এ ছাড়া এনজিওর ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা ‘এনওসি’ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতি সংস্থা থেকে ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা দিতে হতো আসাদুজ্জামানকে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে রাজধানীর উত্তরার একটি উন্নয়ন সংস্থাকে এনওসি দিতে মন্ত্রীকে ৮৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, শুধু নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলিতেই নয়, আলোচিত মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিট থেকে নাম বাদ দিতে হারুন সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে পলাতক রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি কোথায় আত্মগোপন করেছেন এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাকে ধরতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা হত্যাকা-ের ঘটনায় মামলা হয়েছে।