গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতের সময় বাড়িতে, বাড়ির আঙিনায় ও পরিবারের সঙ্গে থাকা অবস্থায় গুলিতে নিহত ১০ শিশুর প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে আদালত এমন মন্তব্য করেন।
শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী তৈমূর আলম খোন্দকার নিহত শিশুদের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানান। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না, দিলে কত টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবেন, এ বিষয়ে সরকার দ্রুতই পলিসি ডিসিশন নেবেন। পলিসি ডিসিশন নেওয়া না পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখার আর্জি জানাই।
এ সময় আদালত রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, সবে তো সরকার গঠন হলো। আপনি নিজেও তো এই সরকারের সফলতা চান। কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন। অ্যাটর্নি জেনারেল তো বলছেন সরকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সরকারের পলিসি ডিসিশনে আদালতের নাক গলানো উচিত নয়। দেখেছেন তো, পলিসি ডিসিশনে (কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়) হস্তক্ষেপ করার কারণে কতকিছু হয়ে গেল।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে করা গুলিতে নিহত প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। রিটে হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে তদন্তের জন্য আর্জি জানানো হয়।