আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘একদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, অন্যদিকে আমরা কোনও রকম মুখোমুখি অবস্থানে জড়াতে চাই না। সে কারণে আমরা সংঘাত হতে পারে, এ ধরনের প্রোগ্রাম আমরা এড়িয়ে চলেছি। গতকাল (শুক্রবার) এবং আজকেও (শনিবার) আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল।’
শনিবার (৩ আগস্ট) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় রবিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ কর্মসূচি সামনে রেখে ওই দিন ঢাকাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের জমায়েত কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের নতুন কর্মসূচির কথা জানিয়ে কাদের বলেন, ‘রবিবার ঢাকা সিটির সব ওয়ার্ডে জমায়েত এবং বাংলাদেশের সব জেলা ও মহানগরীতে জমায়েত। আর ৫ তারিখে (সোমবার) বিকাল ৩টা আমরা আমাদের সেই কর্মসূচি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিল করবো।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন আলোচনার দরজা খোলা। কাজেই বিভিন্নভাবে যোগাযোগ হতে পারে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেখানে বলছেন তার দরজা খোলা, তিনি আলোচনা করবেন। তাহলে নিচের দিকে আর কাউকে দায়িত্ব দেওয়া বা না দেওয়ার কোনও ব্যাপার না। আমাদের যোগাযোগের দরজা খোলা।’
আন্দোলনকারীরা আলোচনায় না বসলে আওয়ামী লীগ কী করবে, এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আমার পজিটিভ বিষয়টা বললাম। নেগেটিভে যাবো কেন? দরজা খোলা রাখছি।’
বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে কি না, ঘটলে আওয়ামী লীগ কী করবে, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতির অভিভাবক। ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তিনি বসতে চান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংঘাত এড়াতে পক্ষ-বিপক্ষ হতে পারে, পাল্টাপাল্টি হতে পারে, এমন কর্মসূচি এড়িয়ে চলছি। বিবেক নয়, আমরা ঐক্যে বিশ্বাসী। যারা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও প্রগতিতে বিশ্বাস করেন, তাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস আমরা চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে দেশের অর্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সবার সম্মিলিত সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি।’