The news is by your side.

কোপা আমেরিকা: মেসির হৃদয় ভাঙতে মরিয়া  ব্রাজিল!

0 79

 

লিয়োনেল মেসি। বিশ্বকাপ জিতেও আত্মতুষ্ট না হওয়া মেসি চান আরও কিছু দিন খেলা চালিয়ে যেতে। সেই লক্ষ্যেই তিনি নামবেন এ বারের কোপা আমেরিকায়। দু’বছর পর ফুটবল বিশ্বকাপে তাঁকে দেখা যাবে কি না নিশ্চিত নয়।

দেশের জার্সিতে এটাই হয়তো শেষ বড় প্রতিযোগিতা হতে পারে মেসির সামনে। তবে মেসির হৃদয় ভাঙতে মরিয়া হয়ে রয়েছে ব্রাজিল। পিছিয়ে রাখা যাবে না উরুগুয়ে, চিলির মতো দেশকেও।

প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা এবং কানাডা। ২০১৬ সালের পর আবার কোপা আয়োজিত হচ্ছে আমেরিকায়।

দু’বছর আগে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে সাহায্য করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের প্রায় সবাই খেলবেন কোপায়। সেই সঙ্গে তরুণ কিছু ফুটবলারকেও দলে নিয়েছেন কোচ লিয়োনেল স্কালোনি। ধারেভারে কোপা জেতার দাবিদার আর্জেন্টিনাই। তাদের দলও বেশ শক্তিশালী। প্রতিটি বিভাগেই ভাল ফুটবলার রয়েছেন।

কোপার আর এক দাবিদার ব্রাজিল কিছুটা পিছিয়ে থেকেই নামবে। ভিনিসিয়াস, রদ্রিগো, এনদ্রিকের মতো তরুণ ফুটবলারদের পাশাপাশি লুকাস পাকুয়েতা, মারকুইনহোসের মতো অভিজ্ঞদের নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই দলে রয়েছেন অনেক তরুণ মুখ। মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা জিততে তাঁদের অভিজ্ঞতা কতটা কাজে লাগবে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। গিলের্মে আরানা, লুকাস বেরাল্দো, ইয়ান কৌটো, ওয়েন্ডেল, আন্দ্রেয়াস পেরেরার মতো ফুটবলারেরা আদৌ ট্রফি জেতাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনেকেরই মনে প্রশ্ন রয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে রিচার্লিসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুসের মতো ফুটবলারদের।

২০২২ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তিতে ব্রাজিল কোচের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন। তার পর কার্লো আনচেলোত্তিকে আনার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিয়াল মাদ্রিদে থেকে গিয়েছেন। বাধ্য হয়ে ঘরোয়া লিগের কোচ দোরিভাল জুনিয়রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বড় মঞ্চে আগে কোনও দিন কোচিং করাননি তিনি। অভিজ্ঞতাও কম। এখনও পর্যন্ত তাঁর অধীনে ব্রাজিল যে ক’টি ম্যাচ খেলেছে একটিতেও মন জয় করতে পারেননি। দোরিভালের উপর তাই সে দেশের মানুষেরই আস্থা নেই।

আর্জেন্টিনার পর অনেকে ট্রফির দাবিদার হিসাবে ব্রাজিলকে ধরছেন না। তাঁদের বিচারে এগিয়ে কলম্বিয়া। গত দু’বছর কোনও ম্যাচে হারেনি। অপরাজিত ২৩টি ম্যাচে। তার পরে রয়েছে উরুগুয়ে। তবে অনেকের দাবি, বড় মঞ্চে ব্রাজিল ভাল খেলে চমকে দিতেই পারে।

কোপা আমেরিকায় লাতিন আমেরিকার ১০টি দেশের পাশাপাশি কনকাকাফ, অর্থাৎ উত্তর ও মধ্য আমেরিকার ছ’টি দেশ খেলছে। এগুলি হল, আয়োজক আমেরিকা, পানামা, কানাডা, মেক্সিকো, কোস্টা রিকা এবং জামাইকা। এ বারের কোপা আমেরিকা আয়োজন করার কথা ছিল ইকুয়েডরের। তারা পিছিয়ে আসায় দায়িত্ব দেওয়া হয় আমেরিকাকে। আমেরিকা খুশি মনেই সেই দায়িত্ব পালন করছে। দু’বছর পরেই সে দেশে বিশ্বকাপ। তার একটা প্রস্তুতি ঝালিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

আটলান্টায় উদ্বোধনী ম্যাচ। ফাইনাল হবে ফ্লরিডার মায়ামি গার্ডেন্সে। ইতিমধ্যেই ৩২টি ম্যাচে ১০ লাখ টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। মোট ১১টি মাঠে খেলা হবে। এর মধ্যে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচিত করা আটটি স্টেডিয়ামও রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.