আবারও রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ভোট স্থগিত করছে নির্বাচন কমিশন। বৈরী আবহাওয়া ও সুষ্ঠু নির্বাচন ও এজেন্টদের হুমকির প্রতিবাদে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএ) ডাকা অবরোধের মধ্যে শনিবার (৮ জুন) দ্বিতীয় দফায় এ উপজেলার ভোট স্থগিত করা হলো।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন খান জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং সড়ক ও নৌপথে অবরোধের কারণে আগামীকাল (৯ জুন) অনুষ্ঠেয় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তবে ভোটের পরবর্তী তারিখ জানাননি তিনি।
এদিকে, ভোটের আগের দিন ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ’ নিবার্চনের দাবিতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেয় পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। তবে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বেলা ১২টা থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় সংগঠনটি।
এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা) সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা (ঘোড়া)। অপর প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইতিময় চাকমা অলিভ (আনারস) প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। অলিভ চাকমাকে স্থানীয় আঞ্চলিক সংগঠন সন্তু লারমা জেএসএস ও ইউপিডিএফ সমর্থন দেওয়ায় নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. বেলাল হোসেন দাবি করেছেন, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছিল। ইতোমধ্যে হেলিসর্টি ৬টি কেন্দ্রের মধ্যে শুক্রবার (৭ জুন) তিনটি কেন্দ্রের নির্বাচনি সরঞ্জাম ও লোকবল চলে গিয়েছে। আজ বাকিদের যাওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে নির্বাচন স্থগিতের খবর আসে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনের দিন ৩৪টি ভোটকেন্দ্রে ১৭ প্লাটুন বিজিবি, প্রতিকেন্দ্রে ৮ জন করে পুলিশ এবং প্রতি ইউনিয়নে একজন করে নয় জন ম্যাজিস্ট্রেট ও একটি করে টহল টিম মাঠে থাকবে। নির্বাচন উপলক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণ আনসার ও ভিডিপি মোতায়ন করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৮ জন নিবার্চনকর্মী, শিক্ষক ও আনসার সদস্য নিহত হন।