The news is by your side.

হিসাব জব্দের আগেই ব্যাংক থেকে থেকে প্রায় শত কোটি টাকা তুলে নেন বেনজীর

0 107

 

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহেমেদ, তার স্ত্রী-সন্তান ও একজন স্বজনের নামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তালিকার বাইরে আরও ১৫টি ফিক্সড ডিপোজিট (স্থায়ী আমানত) হিসাবের খোঁজ মিলেছে। দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয়েছে যে, গত দেড় মাসের ব্যবধানে ফিক্সড ডিপোজিটগুলো ভেঙে ফেলেছেন বেনজীর আহমেদ। এমনকি চূড়ান্তভাবে হিসাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ওইসব হিসাবে সুদে-আসলে প্রায় ৬০ কোটি টাকার মতো জমা ছিল। তাছাড়া দুদকের তালিকাভুক্ত ৩৩টি হিসাব শাখা থেকেও কিছু টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কত টাকা সরানো হয়েছে, তার কোনো হিসাব বের করতে পারেনি দুদকসহ অন্য তদন্তকারী সংস্থা।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের খবর গণমাধ্যমে ফাঁস হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৫০ টি এফডিআরে থাকা এই টাকা তুলে নেন বেনজীর।

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পদের কথা তুলে ধরা হয়। এতে দাবি করা হয়, বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, পাঁচ তারকা হোটেলের শেয়ার, গাজীপুর, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে শত শত বিঘা জমির মালিকানা রয়েছে।

এরমধ্যে গত ২৩ মে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বেনজীর আহমেদের সব ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) এবং গোপালগঞ্জ ও কক্সবাজারের তাঁর ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয় আদালত। আর ২৬ মে বেনজীরের স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির আংশিক শেয়ার ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়।

দুদক বলছে, গণমাধ্যমে অবৈধ সম্পদের খবর প্রকাশের পর থেকেই সম্পদ রক্ষায় তৎপর হয়ে উঠে বেনজীর। এ সময় নিজেদের শতাধিক ব্যাংক হিসাবও বন্ধ করে দেন তিনি। একে একে ৫০টি এফডিআর ভেঙে নগদ প্রায় ১০০ কোটি টাকা তুলে নেন বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া ব্যাংকের হিসাবে থাকা আরও কয়েক কোটি টাকা এ সময় তুলে নেওয়া হয়।

দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, ‘প্রত্যেক ক্ষেত্রে অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে কমিশন নির্দেশ দেয় না। কমিশন তাকে একটা দায়িত্ব দেয় যে তুমি অনুসন্ধান করো। সে অনুসন্ধান কি কি করবে তা আইনে ও বিধিতে বলা আছে। সেই আইন ও বিধি অনুযায়ীয় সে অনুসন্ধান শুরু করবে। যেখানে যা দরকার সেখানে তা করবে। এবং সে এটা করতেসে।’

দুদক বলছে, ব্যাংক হিসাব ও এফডিআর থেকে কতো টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে, যা আদালতে উপস্থাপন করা যাবে।

জহুরুল হক বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে যে সে কিছু কিছু টাকা তুলে নিয়েছে। কি নিয়েছে, না নিয়েছে সেটা তদন্ত কর্মকর্তা দেখবে। এটা তাঁর অ্যাকাউন্ট চেক করলেই সব পাওয়া যাবে।’

আদালতের নির্দেশে দুদক বেনজীর পরিবারের ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার অন্তত দুই মাস আগেই ধাপে ধাপে ওইসব টাকা তুলে নেওয়া হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.