ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড ওয়ারী এলাকা শনিবার সকাল ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। ২৫ জুলাই পর্যন্ত মোট ২১ দিন এই লকডাউন কার্যকর থাকবে। ইতোমধ্যে জনসচেতনতার জন্য ওই এলাকায় মাইকিং, বাঁশের বেড়া ও সুরক্ষা বুথ নির্মাণসহ নানা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তিনটি রোড ও পাঁচটি গলি এই লকডাউনের অধীনে থাকবে। রোডগুলো হলো- টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন)। গলিগুলোর মধ্যে রয়েছে লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র্যাংকিং স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট। এদিকে রাজাবাজারে লকডাউন চলাকালে যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে সরকার, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ওয়ারীতে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো.এমদাদুল হক বলেন, ‘সব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই আমরা ওয়ারীতে লকডাউন কার্যকর করবো। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ যারা এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তাদের সবার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে। সেটি কাজে লাগানো হবে। আমরা আশা করছি, রাজাবাজারে প্রথম দিকের তুলনায় শেষ দিকে যেভাবে সংক্রমণ কমে এসেছে, ঠিক সেভাবে ওয়ারীতেও কমে আসবে।’
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলছে, রাজাবাজারে যেসব স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রয়োগ করা হয়েছে, ওয়ারীতেও সেগুলো প্রয়োগ করা হবে। এজন্য গত বুধবার ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিএসসিসি বলছে, ওয়ারীকে লকডাউন করা তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ, ডিএসসিসির কোনও এলাকা এই প্রথম লকডাউন করা হচ্ছে। আবাসিক এলাকার পাশাপাশি ব্যবসায়িক দিক থেকেও ওয়ার্ডটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেই হিসেবে মানুষকে কতটা মানানো যাবে, সে বিষয়টিকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ডিএসসিসি।
এদিকে ওয়ারীতে লকডাউন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, সবকিছু উন্মুক্ত রেখে শুধু একটি এলাকাকে লকডাউন করে কতটা সফলতা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। কারণ, নির্ধারিত সময়ের পর যখন লকডাউন উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে, তখন আবারও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে। আবার কেউ কেউ বলছেন, নাগরিকদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে সরকার যদি যথাযথভাবে লকডাউন কার্যকর করতে পারে, তাহলে সেটি হবে যথার্থ।