The news is by your side.

গরমে বস্তিবাসীদের স্বস্তি দিতে কুলিং জোন করবে উত্তর সিটি

0 193

বস্তিবাসীদের গরমে স্বস্তি দিতে ৯টি কুলিং জোন করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে ছাতা বিতরণ কার্যক্রমে এই কথা জানান ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ সময় মেয়র দাবদাহের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে রিকশাচালকদের মাঝে রিকশাতে স্থাপনযোগ্য একটি ছাতা, পানি পানের বোতল, ১২ প্যাকেট করে খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‌‘আমাদের ১১টি বস্তি আছে, চিফ হিট অফিসার আমাকে বলেছেন, ‌এই মুহূর্তে বস্তিবাসীদের আরাম দেওয়া দরকার।

বস্তিবাসীরা কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষ। তারা যদি দিনে-রাতে বিশ্রাম না নিতে পারে তাহলে কর্মক্ষমতা অনেক হারিয়ে ফেলবে এবং তাদের উপার্জনে বিঘ্ন ঘটবে। আমার সমাজ উন্নয়ন বিভাগকে ৯টি জায়গায় বস্তিবাসীদের জন্য কুলিং জোন করে দিতে বলেছি। যেখানে শেড থাকবে, ফ্যান থাকবে।

এখানে যদি আমরা মিস্টের বন্দোবস্ত করতে পারি, সেটিও আমরা যেন করে ফেলতে পারি। সেই ডিজাইন রেডি করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘দিনদিন দাবদাহ প্রকট হয়ে উঠছে। প্রতিদিন যাদের জীবিকার জন্য বাইরে বেরোতে হয়, তাদের কষ্ট বেড়ে যায়।

সীমিত আয়ের মানুষ যারা রয়েছে বিশেষ করে রিকশাচালক, তাদের কষ্ট আরো বেশি হয়। তারা যাতে অন্তত ছাতার ছায়ায় থাকতে পারে এ জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ছাতা প্রদান করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশনে যতগুলো নিবন্ধিত রিকশা রয়েছে, সবার কাছে ধাপে ধাপে এই ছাতা পৌঁছে দেওয়া হবে।’

পানি পানের যে বোতল বিতরণ করা হচ্ছে সেটি আধা লিটারের জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘এর ফলে এটি সহজে বহনযোগ্য এবং প্রয়োজন মতো স্যালাইন গুলে খেতে পারবে। আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় মিস্ট ছড়াচ্ছি।

এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তিনটি করে রিকশা-ভ্যান দেওয়া হয়েছে; বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছি। আমাদের ১০টি ব্রাউজার আছে, এই ব্রাউজার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা পানি ছিটাচ্ছি। এ ছাড়া নগরীর পার্কগুলোতে আর্টিফিশিয়াল মিস্ট তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২১টি পার্কে মিস্টার দিয়ে একটি কর্নার করে দিচ্ছি, যাতে সবাই এসে বিশ্রাম নিতে পারে।’

এ সময় বিত্তবানদের বাসার সামনে কল স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘কল লাগিয়ে দিলে সবাই কিন্তু পানি খেতে পারে। দোকান মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা যদি ড্রিংকিং ওয়াটার সরবরাহ করার ব্যবস্থা করে, সেটিও অনেক কাজে লাগবে।’

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.