সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লেও উৎপত্তিস্থল চীন এখন অনেকটাই করোনামুক্ত। যেখানে আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা আর দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার হাজার। সেখানে এতোদিন চীনে করোনার প্রাদুর্ভাব ছিল না বললেই চলে।
তবে সম্প্রতি করোনা ফের হানা দিয়েছে তার জন্মস্থলে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় ১১ জন বেশি এবং গত সোমবারের পর সর্বোচ্চ। শুক্রবারের নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ জন বেইজিংয়ের স্থানীয় ও বাকি ৪ জন বিদেশি।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া নেট।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, রাজধানী বেইজিংয়ে নতুন করে আরও ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের তুলনায় ১১ জন বেশি এবং ২০ জুনের পর থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ১১ জুন চীনে করোনাভাইরাসের পুনরুত্থান ঘটে। এদিন নতুন করে বেইজিংয়ে করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর গত ১৭ দিনে এ পর্যন্ত শহরটির ২৯৭ জন বাসিন্দার শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৩ মে দেশটিতে নতুন করে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি বলে খবর প্রকাশ হয়ে চীনের সব গণমাধ্যমে। কিন্তু জুন থেকে আবার নতুন করে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে সেখানে।
এদিকে গত মে মাসের মধ্যবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক ওয়ার্ল্ডওমিটারসে দেয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৩ হাজার ৪৮৩ জন। মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৪ জন। সুস্থ হয়েছে ৭৮ হাজার ৪৪৪ জন। হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন ৪০৫ জন। এদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রাণঘাতী করোনার উৎপত্তিস্থল হয়েও আক্রান্তের সংখ্যায় ২২তম চীন। ৮ মার্চে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর চীনকে ছাপিয়ে ১৭তম স্থানে এখন বাংলাদেশ।