পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সদরঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। আজ দুপুরে সদরঘাট টার্মিনালে গিয়ে যাত্রীদের পরিবার-পরিজন ও মালামাল নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটতে দেখা যায়। পন্টুনে ভেড়ানো বেশির ভাগ লঞ্চের ডেক যাত্রীতে পূর্ণ ছিল।
আজ ভোর পাঁচটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত ঢাকা নদীবন্দর থেকে ২৭টি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন গন্তব্য থেকে সদরঘাটে ফিরেছে ৩৮টি লঞ্চ।
ঢাকা-বরগুনা নৌপথে চলাচলকারী এমভি পূবালী-১ লঞ্চের কর্মচারী সোহাগ মিয়া বলেন, ‘আমাদের লঞ্চ ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। কিন্তু বেলা দুইটার মধ্যে লঞ্চের ডেক যাত্রীতে ভরে গেছে।‘ পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় যাওয়া এমভি জামাল-৮ লঞ্চের কর্মচারী মো. হাবিব বলেন, ‘আমাদের লঞ্চ ছাড়বে সন্ধ্যা ছয়টায়। দুপুর থেকে যাত্রীরা লঞ্চে উঠতে শুরু করেছেন। যাত্রী হলেই লঞ্চ টার্মিনাল ছেড়ে যাবে।’
আজ ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও যানজটের ভোগান্তি নিয়ে চিন্তায় ছিলেন এমভি নিউসান-১০ লঞ্চের যাত্রী আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লঞ্চ ছাড়বে সন্ধ্যা ছয়টায়। যানজট এড়াতে দুপুরের দিকেই লঞ্চে এসে বসে আছি।‘মুলাদীগামী এমভি অভিযান-৫ লঞ্চের যাত্রী আসমা বেগম বলেন, ‘স্বামী-সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। বাসে যাতায়াত করলে সময় কম লাগে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বাসে বসে থাকতে অস্বস্তি লাগে। তাই লঞ্চে বাড়ি যাচ্ছি।’
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের আহ্বায়ক মামুন অর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ তেমন ছিল না। আজ দুপুর থেকে যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে। গলাচিপা, বরগুনা, খেপুপাড়া, ঝালকাঠি ও ভোলায় যাত্রীদের চাপ বেশি। দু-এক দিনের মধ্যে যাত্রীদের চাপ আরও বাড়বে।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, নৌপথের যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে তাঁদের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। লঞ্চের ফিটনেস সার্ভে ছাড়া লঞ্চ টার্মিনাল ছেড়ে যেতে পারবে না। এ ছাড়া সনদধারী নির্ধারিত মাস্টার ও চালকদের দিয়ে লঞ্চ চালাতে হবে। নির্দেশ উপেক্ষা করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।