আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার অবৈধ হস্তক্ষেপ এবং নিরপেক্ষতা নষ্টের কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার জন্য মন্ত্রীসহ দলীয় এমপি ও নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দেয়া এক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিরপেক্ষভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় মাইলফলক। নির্বাচন বানচালের বহুমুখী ষড়যন্ত্র ছিল। সেই প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়ে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে এসেছিলেন এবং নির্বাচনে সুস্পষ্টভাবে জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন দুই ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে এবং ধাপে ধাপে উপজেলা পরিষদসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মন্ত্রী-এমপিদের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ থাকবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনায় নিয়োজিত প্রশাসনও শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে। কেউ কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনায় নিয়োজিত প্রশাসনও শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। কেউ কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করলেও দলীয় প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচনে জনগণের মতামতের সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে নিজেদের ভোট দেবে। নির্বাচনে কোনো প্রকার অবৈধ হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বিনষ্ট করার কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার জন্য মন্ত্রীসহ দলীয় এমপি ও নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।