বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তাসহ ৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ ভোরে তারা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে লোকালয়ে আশ্রয় নেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি জোন সদরে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।
সীমান্ত এলাকার স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার ক্যাম্পগুলো ইতোমধ্যে আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। ফলে কোণঠাসা হয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনা সদস্যরা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহে বিজিপির ১৭৭ ও সেনাবাহিনীর তিন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিল।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, আজ ভোরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নিলে তাদের বিজিবি নিরস্ত্রীকরণ করে ও পরে হেফাজতে নেয়। ইতোপূর্বে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের সবাইকে নাইক্ষ্যংছড়ির ১১ বিজিবি জোন সদরের স্কুল ভবনে রাখা হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে বিজিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগেও একই কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল দেশটির বিজিপি ও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।