করোনা মোকাবেলায় দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পরিস্থিতি যদি আবারো অবনতি হয় তাহলে সরকারকে বাধ্য হয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সোমবার তার সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। গণপরিবহন চালু ও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে গাড়ি চালানো শুরু হয়েছে। সরকার বাস্তবতার প্রয়োজনে ভাড়া সমন্বয় করেছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ভিজিল্যান্স টিম, মোবাইল কোর্টসহ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে অর্ধেক আসন খালি রাখা ও বর্ধিত ৬০% ভাড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরার বিষয়ে তদারকি করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোও আজ হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও দিনদিন সংকট সমাধানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। গড়ে তোলা হয়েছে সুসমন্বয়। কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যন্ত চিকিৎসা নেটওয়ার্ক সমন্বয় করাসহ সচেতনতা তৈরিতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। খাদ্য সহায়তা, আর্থিক সহায়তাসহ নানা উদ্যোগের ফলে আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত মানুষ না খেয়ে মরেনি।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লকডাউন শিথিল করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে তবুও লকডাউন শিথিল করছে। কোথাও কোথাও তুলে নিয়েছে। পবিত্র মক্কা-মদিনা- মসজিদুল আকসাও ধীরে ধীরে মুসল্লিদের জন্য খোলে দেয়া হচ্ছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ থাকলে জীবনের গতিপথ থেমে আসবে। নেমে আসবে স্তব্ধতা। অর্থনীতিও হয়ে পড়বে স্থবির।’
‘তাই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বেছে নিতেই হবে। এ প্রেক্ষাপটে আমাদের অনিবার্য প্রয়োজন সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। নিজের সুরক্ষা প্রকারান্তরে পরিবার, সমাজ ও সহকর্মীদের সুরক্ষা দেবে। তাই প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থানে সচেতন ও সুরক্ষিত থাকি।