The news is by your side.

হোয়াইট হাউজের বাইরে বিক্ষোভ, আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে ট্রাম্প!

0 522

 

 

শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য। বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। সেই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়েছে হোয়াইট হাউসেও।

ওয়াশিংটন ডিসিতে শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউজের বাইরে বিক্ষোভকারীরা উপস্থিত হওয়ার পর পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষায় তাকে হোয়াইট হাউসের আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে নিয়ে যাওয়া হয়।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের বরাতে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

খবরে বলা হয়, আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করতে করতে হোয়াইট হাউসের দিকে এগোন, তখনই আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্ক পুলিশ তাদের মাঝপথেই আটকে দেয়ার চেষ্টা করেন।

রাতে হোয়াইট হাউজের বাইরে মানুষের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে তা দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সঙ্গীসাথীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মাটির তলার আস্তানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

তবে মেলানিয়া ট্রাম্প এবং ব্যারন ট্রাম্পকেও তার সঙ্গে সেখানে পাঠানো হয়েছিল কিনা তা এখনও অস্পষ্ট।

প্রায় ঘণ্টাখানেক মাটির তলায় ঘাপটি মেরে থাকতে হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। বাঙ্কার থেকে তাকে ওপরে তোলার পরেও নাকি বেশ আতঙ্কেই ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

২৫ মে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর থেকে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হয়ে উঠে।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চার পুলিশ সদস্যকে তৎক্ষণাই বরখাস্ত করা হয়। ফ্লয়েডের পরিবার জড়িত চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের দাবি জানিয়েছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। নিহত ব্যক্তি নিরস্ত্র ছিলেন। ভিডিওতে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। তিনি বারবার শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারকে বলছিলেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’

ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ঠেকাতে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ শহরটিতে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী মোতায়েন করলেও বৃহস্পতিবার প্রতিবাদকারীদের ক্ষোভের আগুন দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খুব বেশি তৎপর দেখা যায়নি।

বিক্ষোভকারীরা এদিন একটি গাড়ি এবং অন্তত তিনটি ভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে; টানা দ্বিতীয় রাতের মতো দোকানে লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।

বুধবার রাতে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও অন্তত ১৬টি ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.