ভারতের বৃহত্তম বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ দেশটিতে ১ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিষ্ঠানটির আগামী বছরের মার্চে শেষ হতে যাওয়া অর্থ-বছরের মধ্যে এই বিনিয়োগ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন গ্রুপটির কর্ণধার গৌতম আদানি। আর এই বিনিয়োগের সিংহভাগ যাবে সবুজ বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে। ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ৭০ শতাংশ বিনিয়োগ করা হবে নবায়নযোগ্য শক্তি, সবুজ হাইড্রোজেন ও সবুজ ইভাকুয়েশনের মতো প্রতিষ্ঠানটির নানা সবুজ শক্তি ব্যবসায়ে। বাকি ৩০ শতাংশ অর্থ বিমানবন্দর ও নদীবন্দর সম্প্রসারণে ব্যবহার করা হবে।
চলতি অর্থবছরের বিনিয়োগের তুলনায় ২০২৫ সালের পরিকল্পিত এই বিনিয়োগের পরিমাণ ৪০ শতাংশ বেশি হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে চলতি বছরের মার্চের মধ্যে প্রায় ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দ্বিগুণ অর্থাত্ ২০ হাজার কোটি ডলার করার পরিকল্পনা করেছে আদানি গ্রুপ। গ্রুপের আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে বিমানবন্দর ব্যবসায়ে ৬০ হাজার কোটির বেশি রুপি বিনিয়োগের ঘোষণার পরপরই এই নতুন পরিকল্পনার কথা জানানো হলো।
এ ব্যাপারে আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক করণ আদানি জানান, তাদের কোম্পানি পাঁচ বছরের মধ্যে টার্মিনাল ও রানওয়ের সক্ষমতায় অর্ধেক বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে ও বাকি অর্ধেক আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিমানবন্দরগুলোর সিটি-সাইড উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্লেন চলাচলের বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে পুঁজি করে, আদানি গ্রুপ ২০৪০ সালের মধ্যে বিমানবন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে৷
তিনি বলেন, আমাদের বিমানবন্দরগুলোতে বর্তমানে বছরে ১১০ মিলিয়ন যাত্রী (এমপিএ) ধারণের সক্ষমতা রয়েছে। এই সমক্ষমতা বাড়ানো হবে আরও তিনগুণ। লক্ষে্ণৗতে একটি নতুন টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে নাভি মুম্বাইতে একটি টার্মিনাল খোলা হবে। এরপর হবে গুয়াহাটিতে। আমরা আহমেদাবাদ ও জয়পুরের জন্যও নতুন টার্মিনালের পরিকল্পনা করছি। সামগ্রিকভাবে, ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা প্রায় ৩০০ এমপিএ’র একটি সম্মিলিত সক্ষমতার জন্য অপেক্ষা করছি।