গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসক মৃদুল সরকার গণমাধ্যমকে জানান, সোলাইমান মোল্লা নামের ওই ব্যক্তির শরীরের ৯৫ শতাংশ ফ্লেইম বার্ন, সঙ্গে ইনহেলেশন ইনজুরি (শ্বাসতন্ত্র পুড়ে যাওয়া) ছিল। অবস্থা খারাপ হওয়ায় গত রাতে আইইসিইউতে আনা হয়েছিল। কালিয়াকৈরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে এটিই প্রথম মৃত্যু।
তিনি বলেন, ‘ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১৫ জনের ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ৬ জনের ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাই কাউকেই বিপদমুক্ত মনে করা যাচ্ছে না। ৭ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন আইসিইউতে রয়েছে। তাদের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
প্রদীপ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছি। বৃহস্পতিবার সকালে একটা সিদ্ধান্ত হবে। রোগীদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দগ্ধদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি যে, একটি ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বাড়ির বাইরে আনার পর সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আগুন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। বিপুল সংখ্যক উৎসাহী মানুষ দগ্ধ হয়েছেন।’