সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে আরেকটি জাহাজ। এ সময় দুই জাহাজের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তবে একপর্যায়ে দস্যুরা জিম্মি বাংলাদেশিদের হত্যার হুমকি দিলে পিছু হটে জাহাজটি। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন দস্যুদের হাতে জিম্মি এক নাবিক।
এর আগে এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ এর পিছু নিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ।
ওই নাবিক জানান, গতকাল নেভির একটা জাহাজ আমাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু এরা আমাদের দেয়নি। ওরা বাইরে থেকে ফায়ার করেছে। তখন জলদস্যুরা বলছে, হোস্টেজ (জিম্মি) আছে। ওরা (উদ্ধারে আসা জাহাজ) যদি হামলা করে, তাহলে আমাদের মেরে ফেলবে। এরপর ওরা সরে গেছে। দূরে থেকে আমাদের অনুসরণ করছে।
জানা গেছে, গতকাল বিকেল থেকেই ওই জাহাজটি বাংলাদেশি জাহাজকে অনুসরণ করছে। তবে জাহাজটি ঠিক কোন দেশের নৌবাহিনীর সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আজ সকালে অপহরণ হওয়া জাহাজটির উদ্ধার প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন সরকারি দফতর প্রধান ও মার্চেন্ট জাহাজ মালিক এবং অফিসার্স এসোসিয়েশন একসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মোহাম্মদ মাকসুদ আলম সাংবাদিকদের জানান, সোমালিয়া উপকূলে নোঙর করেছে জাহাজটি। আশা করছি, যে কোনো সময় অপহরণকারিরা জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তারপরই আমরা কৌশল ঠিক করবো, কীভাবে আলোচনায় যাবো। এখন চিন্তা করছি, জাহাজে যারা অবস্থান করছে তারা এবং জাহাজটি যেন নিরাপদ থাকে সে বিষয়টি নিয়ে।
সকাল ৬টায় সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে ছিল জাহাজটি। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত জাহাজটি গারাকাড উপকূল থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। তবে জাহাজটি ধীরে চলছে বলে ধারণা মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশনের।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেয় জলদস্যুরা। চট্টগ্রাম ভিত্তিক কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন কোম্পানি এসআর শিপিং জাহাজটির মালিক।