দীপিকা পাড়ুকোন একসময় নিজে মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি মানসিক অবসাদে ভুগেছিলেন। তবে এ ব্যাপারে কখনো তিনি প্রকাশ্যে কিছু বলতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। শুধু মানসিক রোগীদের পাশে দাঁড়াবেন বলে একটি এনজিও খুলেছেন দীপিকা। এবার করোনাকালে মানুষের মন ভালো রাখার উপায় জানালেন এই বলিউড অভিনেত্রী।
করোনার সংক্রমণ রুখতে টানা দুমাস গৃহবন্দী মানুষ। এক চরম অনিশ্চয়তার মুখে সাধারণ মানুষ। আর তাই অনেককে হতাশা ক্রমশ ঘিরে ধরছে। তাই দীপিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন ভালো রাখার ১১ উপায় বলে দিয়েছেন। এই বলিউড নায়িকার পরামর্শমতো চললে মানসিকভাবে অনেকটা সুস্থ থাকা যাবে।
দীপিকা বলেছেন, ‘প্রথমে নিজের খেয়াল রাখতে হবে। আর নিজেকে ভালোবাসতে হবে।’ মন ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘নিজের অন্তরে লুকিয়ে থাকা ভয়টা স্বীকার করুন। আর অন্যকে এই বিষয়ে বিষদভাবে জানান। আপনার যা ইচ্ছে করে, আর আপনি পুরো দিন যা করতে চান, তা–ই করা উচিত। সারা দিনের একটা দিনলিপি হওয়া চাই। আর সেইমতো চলা জরুরি।’ দীপিকা আরো বলেছেন, ‘প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে ভুলবেন না। মেডিটেশন এবং শরীরচর্চা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এই সময় আপনি আপনার মধ্যে লুকিয়ে থাকা শিল্পীসত্তার বিকাশ ঘটাতে পারেন। যাদের ভালবাসেন, তাদের সঙ্গে অবশ্যই যোগাযোগ রাখবেন। গান শুনুন। অবসাদ এবং চাপের মোকাবিলা করুন। শেষ কথা, একদম লজ্জা পাবেন না।’
২০১৪ সালে দীপিকার সঙ্গে রণবীর কাপুরের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায়। আর তখন এই বলিউড অভিনেত্রী মানসিক অবসাদের শিকার হন। মনোরোগ চিকিৎসকের সাহায্যে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে দীপিকা মানসিক রোগীদের যন্ত্রণা এবং অসহায়ত্ব খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করেন। তাই তিনি মানসিক রোগীদের জন্য ‘দ্য লিভ লাভ লাইফ’ নামক এক এনজিও শুরু করেন। এনজিওর জন্য দারুণ কাজ করে দীপিকা ক্রিস্টাল পুরস্কার জয় করেছিলেন। দীপিকাকে শেষ পর্দায় দেখা গেছে মেঘনা গুলজারের ‘ছপাক’ ছবিতে। কবির খানের ‘৮৩’ ছবিতে তাঁকে তাঁর স্বামী রণবীর সিংয়ের সঙ্গে দেখা যাবে। শকুন বাত্রার একটি ছবিতে দীপিকাকে দেখা যাবে সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী এবং অনন্যা পান্ডের সঙ্গে।