The news is by your side.

অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীরা

0 94

 

অনলাইনে আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকচক্র। তাদের টোপ গিলে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ খুঁইয়েছেন ব্যবসায়ী, তরুণ, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন।

সম্প্রতি ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর আগে অনলাইনে লাইক দিয়ে আয় করতে পারবেন—এমন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ৬০ হাজার টাকা খুইয়েছেন রাজধানীর অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।

তাঁর মতো আরো অনেকেই প্রতারকচক্রের শিকার হয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনলাইনে আয়ের টোপে পড়ে অর্থ খোয়ানো ব্যক্তিদের বেশির ভাগই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দ্বারস্থ হয়নি। যারা হয়েছে, তাদের অনেকে সুফল পেয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ক্রাই-ফটোবারফা ডটসিসি ইনভেস্টমেন্ট নামের এক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

সিআইডি জানায়, সাইবার পুলিশ সেন্টারের কাছে একটি অভিযোগ আসে, একটি প্রতারকচক্র ভুক্তভোগীর নম্বরে অপরিচিত মোবাইল থেকে কল দিয়ে অনলাইনে কাজের অফার দেয়, তখন ভুক্তভোগী রাজি হয়। ভুক্তভোগীর সঙ্গে প্রতারকচক্র হোয়াটঅ্যাপে যোগাযোগ করে। ভুক্তভোগীকে প্রাথমিক টাস্ক দেয় যে তাকে ইউটিউবে সাবসক্রিপশন করতে হবে। প্রতি ইউটিউবে সাবসক্রিপশনের জন্য ১০০ টাকা করে দেওয়ার অফার দেয়।

এভাবে ভুক্তভোগীকে প্রথম দুই দিন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে তাকে কাজে উৎসাহিত করে প্রতারকচক্র।

ওই শিক্ষার্থীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অপরিচিত একজন একটা ইউটিউব ভিডিও লাইকিং কাজের প্রস্তাব দেয়। কাজটা করে দিলে সঙ্গে সঙ্গে ২১২ টাকা নগদে পাঠায় তাঁকে। এরপর তাঁকে রিসিপশন নামে টেলিগ্রামের একটা আইডি দিয়ে ওখানে যোগাযোগ করতে বলা হয়। পর্যায়ক্রমে একটা গ্রুপে জয়েন করায়।

পরদিন থেকে তাঁকে ইউটিউব ভিডিও লাইকিং কিছু কাজ দিচ্ছিল এবং তিনটি লাইকংয়ের কাজ করার পর আবার ৯৩ টাকা পাঠায় নগদে। কাজগুলো করার পর কিছু লাইকিং কাজের পর একটি করে মিশন টাইপের কাজ দিচ্ছিল। ওই শিক্ষার্থী প্রথমে এক হাজার টাকা দিয়ে একটা মিশনে জয়েন করেন। এভাবেই একাধিকবার বিভিন্ন অঙ্কের টাকায় লাইকিংয়ের কাজ করতে দেয়। এরপর তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে সাত হাজার, ১৫ হাজার, ৩২ হাজার করে মোট ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই টাকাগুলো দেওয়ার আগে ওই গ্রুপের দুজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলি। বিশ্বস্ত মনে করে টাকা দিই। ওই গ্রুপে যারা ছিল, সবাই তাদের লোক, কেউ আমার কল ধরেনি এবং তাদের প্রত্যেকের মেসেজ দেওয়ার ধরনও এক। আমি বোঝার পরে ওই রিসিপশনকে এবং গাইডারকে অনেক অনুরোধ করি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা বারবার বলেছে, আগে পেমেন্ট করলে তারপর একসঙ্গে সব লাভসহ ফেরত দেবে।’

এসব বিষয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এসব পেজের সত্যত্য কতুটুকু এ নিয়ে বিনিয়োগ করার আগে একাধিকবার ভাবতে হবে। কারণ, অনলাইনের কিছু বিষয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সিআইডির মুখপাত্র পুলিশ সুপার আজাদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বর্তমান যুগের তরুণরা প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে। প্রযুক্তি ছাড়া যেহেতু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা অসম্ভব, তাই অনলাইনে বিনিয়োগ করার আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা জরুরি। আর আমরা সব সময় বলি, কেউ যদি প্রতারিত হনও সঙ্গে সঙ্গে যেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দ্বারস্থ হন।’

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.