The news is by your side.

আদালতের এজলাস কক্ষে লোহার খাঁচার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

0 87

 

দেশের কতটি আদালতের এজলাস কক্ষে লোহার খাঁচা রয়েছে তার তালিকা চেয়ে তথ্য দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এ তালিকার প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে আইন সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার  হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির।

রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির।

সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবীর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

বুধবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং বিদ্যমান লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক প্রতিস্থাপন করার পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রিট করেন তারা।

রিট আবেদনকারী ১০ আইনজীবী হলেন- জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও সাজ্জাদ সারোয়ার।

১৬ অক্টোবর এই ১০ আইনজীবী এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে আইনসচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।

নোটিশ পাওয়ার ৪ সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে অনুরোধ জানানো হয়। তা না হলে রিট করে আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে বলে আইনি নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছিল। নোটিশের পরও পদক্ষেপের বিষয়ে অগ্রগতি না পেয়ে ১০ আইনজীবী এই রিট করেন।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির বলেন, অতীতে দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা ছিল না। বর্তমানে প্রায় শতাধিক আদালতে এই ধরনের খাঁচা বিদ্যমান, যার সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত। এ ধরনের খাঁচা ব্যবস্থা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তিনি বলেন, সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে- কারও সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অথচ, এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে। এর সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত।

যেসব আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা স্থাপন করা হয়েছে, তার একটি তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয় রিটের প্রার্থনায়। রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিনে থাকা আসামিদের আদালত কক্ষে লোহার খাঁচায় না ঢোকানোর জন্য রিটের প্রার্থনায় অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে বলে এই আইনজীবী জানান।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.