নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি কি প্রতিক্রিয়া দেখালো তা নিয়ে বিচলিত নয় সরকার। এখন সরকারের মূল লক্ষ্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা। এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, জজ মিয়া, মিয়া আরেফিসহ বিএনপি যতই নাটক সাজাক না কেন জনগণের সমর্থন তাদের নেই। তারা যতই করুক, জনগণ আন্দোলন চায় না। বিএনপির বন্ধু তো দেশে আছে, বিদেশেও আছে। নির্বাচনে অংশ নেয়নি, আন্দোলনে ব্যর্থ। তাদের তো বিদেশি বন্ধুদের কাছে মুখ রক্ষার বিষয় আছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কটের পরও ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২৮টি দল অংশ নিয়েছে। সারা দুনিয়া থেকে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে, একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এমনকি নির্বাচন সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ এমন কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বলেনি। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মতবিনিময়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই নির্বাচনে বিএনপি কি প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং কি বলবে এ নিয়ে আমরা বিচলিত নই। সারা বিশ্ব আজ চ্যালেঞ্জের মুখে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এর রেশ বাংলাদেশেও রয়েছে। গতকালও দেখলাম রেমিটেন্স বেড়েছে, তবে রিজার্ভ কমেছে। ওঠানামা থাকবেই। তারপরও কৃষি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি। এটা একটা ভালো দিক। এ অস্থিরতার মধ্যেও জনগণের মধ্যে কোথাও হাহাকার নেই, বিক্ষোভ দ্রোহ দেখিনি। সবাই স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
তিনি বলেন, সারা দুনিয়া চ্যালেঞ্জের মুখে, আমেরিকারও নানান চিন্তা আছে। তারা এখন নিজেদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্যস্ত। বাংলাদেশের দিকে মনোযোগ দেওয়ার তাদের অত সময় কোথায়? দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। কথা বেশি না বলে কাজে বেশি মনোযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয়নি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা অংশ নেয়নি। বিএনপি একটা দল যারা নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকছে না। শিগগিরই জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।