গাজা সংঘাতের জেরে লেবাননের সীমান্ত এলাকায় ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে বিগত ১১৬ দিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাত চলছে। কিন্তু এই ইসরায়েলি বাহিনীকে কাবু করতে মাত্র দুই ঘণ্টার মাঝে দেশটির রাজধানী তেল আবিবে এক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সক্ষমতা রয়েছে হিজবুল্লাহর।
হিজবুল্লাহর কাছে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে সক্ষম, আর অন্যগুলো তেল আবিবের আকাশচুম্বি দালানগুলোয় নিশানা করতে পারে।
তেল আবিবের এসব স্থাপনার ব্যাপারে ইসরায়েলের রিপোর্টে বিশদ আলোচনা করা হয়নি, তবে হিজবুল্লাহ এগুলোকে ‘পরবর্তী যুদ্ধের টার্গেট’ বলে অভিহিত করেছে বলে জানানো হয়।
হিজবুল্লাহ ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের কবজা থেকে উত্তর ফিলিস্তিনকে মুক্তি করতে সক্ষম হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। লেবাননের সঙ্গে সংঘাতে না যেতে ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলের ইসরায়েলি সেনা কমান্ডারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পশ্চিম ফিলিস্তিনের অন্তত পাঁচটি ইসরায়েলি নিশানায় ভারি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হিজবুল্লাহ।
সোমবার ইসরায়েলের ১৩টি নিশানায় হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। প্রথমে হামলা চালানো হয় লেবাননের ইয়ারিন, আল-বুস্তান এবং আল-ওয়াজানি শহরের কাছে অবস্থান নেওয়া ইসরায়েলি সেনাদের ওপর। এরপর চিহিনে, নাকোরা, ইয়ারিন, আল-জিবিন এবং তেইর হারফা শহরে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। প্রত্যুত্তরে হাদাব আইতা এবং আল-দাইরাহ এলাকায় অবস্থিত ইসরায়েলি সেনাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হিজবুল্লাহ।
গাজায় আরো তিন ইসরায়েলি সেনার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই তিন সেনার মাঝে দুজন গাজার দক্ষিণাঞ্চলে এবং একজন উত্তরাঞ্চলে নিহত হয়।
গত বছর অক্টোবরের ৭ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা ৫৬০ এবং আহতের সংখ্যা ২ হাজার ৭৮৪। এছাড়া গাজায় স্থল অভিযান চালানোর পর থেকে ইসরায়েলি সেনা নিহতের সংখ্যা ২২৩।