ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ায় দীর্ঘ ২০ বছর ক্ষমতায় আছেন। বর্তমান সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৪ সালের পর আর প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন না। এজন্য সংবিধান নামের সেই কাটা উপড়ে ফেলতে চান পুতিন।
মঙ্গলবার রুশ পার্লামেন্টের নিুকক্ষ স্টেট দুমায় এসে আকস্মিক ভাষণে এ কথা বলেন খোদ প্রেসিডেন্ট। সংবিধান সংশোধন নিয়ে এদিন পার্লামেন্টে দ্বিতীয় ধাপের পর্যালোচনা চলছিল।
দিন শেষে ভোটাভুটিতে সেটি পাস হয়েছে। পক্ষে ৩৮২ এমপি ভোট দিয়েছেন। ভোটদানে বিরত ছিলেন ৪৪ জন। আজ (বুধবার) তৃতীয় এবং শেষ পর্যালোচনা শেষে ভোটাভুটি হবে। এদিন সংশোধিত বিলটি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলেও তোলা হবে। আগামী ২২ এপ্রিল সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
জানুয়ারিতে সংবিধান পরিবর্তনের ঘোষণা দেন পুতিন। সরকারের তরফে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। রাশিয়ার সরকারনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাতেও পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব জানানো হয়নি। যতটুকু প্রকাশিত হয়েছে, তাতেই অন্য কিছুর গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
তার এ পদক্ষেপকে ‘সাংবিধানিক ক্যু’ আখ্যা দিচ্ছেন সমালোচকরা। বলা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে পুতিন বাকি জীবনটাও ক্ষমতার শীর্ষে থাকার পরিকল্পনা করছেন। এর আগে বহুবার ৬৭ বছর বয়সী পুতিন বলেছেন, আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধান পরিবর্তন হচ্ছে না। গত শুক্রবার ইভানোভোয় এক সভায়ও বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য নয়। আমরা সংশোধনী প্রস্তাবটি আনছি ৫-১০ বছরের জন্য নয়, অন্তত ৩০-৫০ বছরের জন্য।’ তবে মঙ্গলবার স্টেট দুমায় এসে আকস্মিক ভাষণ দেয়ায় সব কিছু স্পষ্ট হয়ে গেছে।