চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীতে যানজট কমাতে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত স্থান তৈরির পাশাপাশি এই ব্যবস্থার আধুনিকায়ন প্রয়োজন। শিগগিরই নগরীতে স্মার্ট পে-পার্কিং সিস্টেম চালু করা হবে।’
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ে চসিক, সিএমপি ও বিআরটিএর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সভায় এ মন্তব্য করেন মেয়র। সভায় ‘বিট্র্যাক সলিউশন’ চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে পে-পার্কিং চালুর বিষয়ে পাইলট প্রকল্পের রূপরেখা তুলে ধরে।
মেয়র রেজাউল বলেন, ‘চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু বড় প্রকল্প গ্রহণ করায় চট্টগ্রামে গাড়ির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতের চট্টগ্রামকে ট্রাফিক যানজটমুক্ত করতে হলে প্রযুক্তিভিক্তিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালু করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নগরীতে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় অনেকে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করায় পর্যাপ্ত রাস্তা থাকা সত্ত্বেও নগরীর কিছু পয়েন্টে যানজট তৈরি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিন ধরে পে-পার্কিং চালুর পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মতামতের ভিত্তিতে প্রযুক্তিভিত্তিক পে-পার্কিং চালু করা গেলে নগরীর যানজট অনেকটা কমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তার আলোকে আমরা স্মার্ট পে-পার্কিং সিস্টেম চালু করবো।’
আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা এবং ওয়াসা মোড় থেকে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত আগামী ২৩ জানুয়ারি চসিক, সিএমপি এবং বিট্র্যাক সলিউশন যৌথভাবে জরিপ চালাবে। এরপর যেকোনও একটি স্থানে প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প চালুর প্রস্তাব ওঠে আসে সভায়।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পে-পার্কিংকে জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনে গণবিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করবো।’ তিনি নগরীকে হকারমুক্ত করতে ‘নাইট মার্কেট’ চালুর প্রস্তাব দেন।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘পে-পার্কিং চালুর পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহন বিকেন্দ্রীকরণে সিএমপি এবং বিআরটিএর সহযোগিতা প্রয়োজন।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান মিয়া চসিকের পে-পার্কিং চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘প্রকল্পের ক্ষেত্রে পার্কিং করা গাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকল্পের প্রয়োজনে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ করতে হবে।’
বিআরটিএ’র পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঞা বলেন, ‘নগরীতে পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য রুট র্যাশনালাইজেশন করছে বিআরটিএ। একেক শ্রেণির গাড়িকে একেকটি রুটে ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে নগরীতে জ্যাম হ্রাস পাবে।’