সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলা সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ২০০ জন।
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর চলাকালেই রাজধানী দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থক ও বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি মিছিল থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার রূপ নেয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাতেও উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভাজানপুরা,মৌজপুর এবং কারাওয়াল নগরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
পরিস্থিতি সামলাতে গোটা উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে আগামী এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। দিল্লি-সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদেও ১৪৪ ধারা জারি হয়। নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয় গাজিয়াবাদ-দিল্লির সীমানায় যাতায়াতের উপর। টানা বন্ধ দু’দিন উত্তর-পূর্ব দিল্লির পাঁচটি মেট্রো স্টেশন। সংঘর্ষের ছবি না-দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয় ভারতের বেসরকারি চ্যানেলগুলোকে।
এছাড়া দিল্লিতে সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ১০৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পাশপাশি এই সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দাঙ্গা শুরু হওয়ার তিন দিন পর চতুর্থ দিন প্রথমবারের মতো এক বিবৃতিতে ‘শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের’ ডাক দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একের পর এক রিভিউ মিটিং করে গেলেও দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।