প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা স্বাধীন করে দিয়েছি। কারণ, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যেহেতু গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, তাই মানুষ শান্তিতে আছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। তাই আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকার কারণে মানুষ শান্তিতে আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষ শান্তিতে আছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। এভাবে মানুষের হৃদয় জয় করে মানুষের ভোট পাই। তাই আমাদের জনগণের ভোট চুরি করতে হয় না।
তিনি বলেন, বিএনপির চুরি-দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে জনগণ তাদেরকে ২০০৮ সালে প্রত্যাখ্যান করেছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করা তারা শুধু এটাই জানে। এখন আবার নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে ও ভোটে বিশ্বাসী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। জিয়াউর রহমান যখন ভোট চুরির জন্য হ্যাঁ-না ভোট করেছিলেন। আওয়ামী লীগ তখন জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে দিয়েছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এই স্লোগানটিও আমাদের দেয়া। আমরাই জনগণের হাতে ভোটাধিকার এনে দিয়েছি।
লন্ডনে থাকা তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি দেশে অরাজকতা করছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আগুনসন্ত্রাস করে ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চাওয়া বিএনপিকে ভোটের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে। ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকাতে জ্বালাও-পোড়াও করে তারা ব্যর্থ হয়েছিল। এখন আবার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।