The news is by your side.

দেশের ব্যাংকেগুলোতে কঠিন হয়ে যাচ্ছে ডলার এনডোর্সমেন্ট

0 199

বছর শেষে এখন অনেকে দেশের বাইরে ভ্রমণে যাচ্ছেন। ওমরাহ করতে যাওয়ার সংখ্যাও বেড়েছে। আবার দর বাড়তি থাকায় অনেকেই নগদ ডলার কিনে ঘরে রেখেছেন। এতে করে নগদ ডলারের চাহিদা এখন তুলনামূলক বেশি। এ অবস্থায় বিদেশে যেতে পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্টে অনীহা দেখাচ্ছে অনেক ব্যাংক। নিরুৎসাহিত করতে ৩ শতাংশ পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ নিচ্ছে কোনো কোনো ব্যাংক। এর পরও তদবির ছাড়া ব্যাংকে ডলার মিলছে না। এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে ঘুরে না পেয়ে বেশি দর দিয়ে খোলাবাজার থেকে ডলার কিনতে হচ্ছে। মানি চেঞ্জারগুলোতেও অনেক সময় মিলছে না ডলার। পাওয়া গেলেও দর অনেক বাড়তি।

ব্যাংকাররা জানান, দেশের বাইরে যাওয়ার সময় এনডোর্সমেন্টের জন্য বেশির ভাগই আসেন ব্যাংকে। আর বাইরে থেকে ফিরে এসে বেশি দর পাওয়ার আশায় বিক্রি করেন খোলাবাজার কিংবা মানি চেঞ্জারে। ফিরে এসে বেশি দরে বিক্রি করতে পারবেন এমন আশায় কেউ কেউ বিদেশে যাওয়ার সময় প্রয়োজনের বেশি ডলার কিনে নিয়ে যান। এতে ব্যাংকে নগদ ডলারের সংকট রয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি অনেক জোরদার করা হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো ডলার এনডোর্সমেন্টে এখন অনেক সতর্ক। গ্রাহকদের বলা হচ্ছে, ডলার নেই কিংবা নিরুৎসাহিত করতে আগের চেয়ে বাড়তি চার্জ আরোপ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সামনে নির্বাচনসহ নানা কারণে অনেকে নগদ ডলার কিনে ঘরে রেখেছে। ধরে রাখা ডলার ব্যাংকে ফেরাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিদেশ ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে বৈদেশিক মুদ্রায় খোলা আরএফসিডি হিসেবে ডলার রাখলে ৭ শতাংশের বেশি সুদ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একজন ব্যক্তি বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ার সময় যত কম ডলারই নিয়ে যাক, দেশে ফিরে আরএফসিডি হিসেবে ১০ হাজার ডলার জমা রেখে এই সুদ পাবেন। আবার প্রবাসী বাংলাদেশির সুবিধাভোগীও বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খুলে ডলার জমা রেখে একই সুদ পাবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.