আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি-কে এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছে মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। আজ রোববার দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই টাকা পরিশোধ করা হয়।
ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেইজে এক স্ট্যাটাসে টাকা পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
নিজের স্ট্যাটাসে মিস্টার জব্বার লিখেছেন, “সুখবরটা পেলামই। গ্রামীণফোন এক হাজার কোটি টাকা প্রদান করেছে।”
গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিটিআরসিতে গিয়ে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এক হাজার কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন গ্রামীণফোনের পরিচালক ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত।
গত বুধবার আপিল বিভাগ সোমবারের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে আজই গ্রামীণফোনের রিভিউ আবেদনের ওপর আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ ওই নির্দেশ দেন।
এরপরই গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা রোববার বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করবে।
বিটিআরসির নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী গ্রামীণফোনের কাছে বকেয়া পাওনার পরিমাণ ১২ হাজার ৫৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এই পাওনা দাবির বিরুদ্ধে গ্রামীণফোন আদালতে গেলে সর্বশেষ গত বছরের ২৪ নভেম্বর আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে গ্রামীণফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়। তবে গ্রামীণফোন সেই অর্থ পরিশোধ না করে গত ২৬ জানুয়ারি দুই হাজার কোটি টাকার পরিবর্তে ৫৭৫ কোটি টাকা দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে। গত বৃহস্পতিবার সেই রিভিউ পিটিশনের ওপর শুনানি হয়। তবে এই শুনানির আগের দিন গ্রামীণফোনের কয়েকজন কর্মকর্তা ১০০ কোটি টাকার একটি চেক নিয়ে বিটিআরসিতে যান। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে ওই ১০০ কোটি টাকা গ্রহণের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে বিটিআরসি।
এরপর বৃহস্পতিবার রিভিউ আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের আপিল বেঞ্চ ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিটিআরসিকে নিরীক্ষা দাবির পাওনা এক হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দেন।