জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে কি না- তা আজ বিকালে জানাবে দলটি। দলের চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন মহাসচিব মুজিবুল হক।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনে থাকা না থাকা সরকারের সঙ্গে সমঝোতার বিষয় নয়, দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। নিজেদের প্রয়োজনে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় নেওয়া হচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়েই আওয়ামী লীগের সঙ্গে কয়েক দফায় জাপার বৈঠক হলেও গতকাল শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি। এর কারণ সম্পর্কে জাপা নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের পছন্দমতো তালিকা করেছে। যেখানে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, সেগুলোকে ছাড় হিসেবে দেখানো হয়েছে। অথচ জাপা যাদের আসনে ছাড় চেয়েছে, আওয়ামী লীগ সেসবের বেশির ভাগই বাদ দিয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত ২৬ জনের তালিকায় এমন প্রার্থীদের নাম রয়েছে, যাদের নাম জাপা থেকে দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার জাপা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তাদের ২৬টি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয় আওয়ামী লীগ। তবে ২৬ জনের তালিকায় জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নাম নেই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি হবে। আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। বিকেল চারটা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) সূত্র বলছে, জাপা আওয়ামী লীগের কাছে বেশ কিছু আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি জাপা চায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াক।
বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন ধরে দুই দলের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকের স্থান ও আলোচনার বিষয় গোপন রাখছে দুই দলই।