রাজধানী ঢাকা এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, চাঁদপুর, রাজশাহী, পঞ্চগড়, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর ও কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। এর উৎপত্তিস্থল ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায়। পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী জেলায় ভূকম্পন বেশি অনুভূত হয়েছে।
ইউরোপীয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) ও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কুমিল্লা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৫।
কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পে পুরো ঢাকা কেঁপে ওঠে। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বাসা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
এর আগে ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে ঢাকায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয়ের রেসুবেলপাড়া থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও নেপাল, ভূটান এবং চীনেও অনুভূত হয়েছে এর কম্পন
এছাড়া গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১১টি হালকা ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে দেশে। এতে জানমালের তেমন ক্ষতি না হলেও বড় ধরনের ভূমিকম্পের আভাস পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।