নির্বাচনের আগে অনিয়ম নিষ্পত্তি করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়ে ‘নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। শনিবার গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ হয়।
নির্বাচন কমিশনের আদেশক্রমে গত বৃহস্পতিবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান মতে, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে দেশের প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় একটি করে ৩০০টি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, আচরণবিধি ও ভীতি, বাধা, দমন বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশসহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করে এমন বিষয়গুলো অনুসন্ধানসহ সুপারিশ করে তিনদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত জ্বালানি ও আপ্যায়ন ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। অনুসন্ধান কার্য পরিচালনার বিষয়ে কমিটির চাহিদা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন ও প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে ওই কর্মকর্তারা নিজ দপ্তর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে জানানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবর পাঠাবেন এবং ওই প্রতিবেদন পিডিএফ ফরমেটে অত্র সচিবালয়ের আইন অনুবিভাগের উপসচিব ও সিনিয়র বা সহকারী সচিবের ইন্টারনাল অ্যাকাউন্টে পাঠাবেন।