The news is by your side.

সাক্ষীর তালিকা থেকে অভিযুক্তর তালিকায় ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা 

0 126

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি এবার বিপদে পড়তে যাচ্ছেন। শনিবার দ্য নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথাই বলা হয়েছে।

দ্য নিউজ বলছে, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) বুশরা বিবির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু প্রমাণ যাচাই করছে। যদি তারা নিশ্চিত হয় তাহলে বুশরা বিবি সাক্ষীর তালিকা থেকে অভিযুক্তর তালিকায় আসবেন।

সূত্র জানিয়েছে, এনএবি বেশকিছু নতুন প্রমাণ পেয়েছে, তারা এসব ক্রসচেক করছে। এ থেকে তারা নিশ্চিত হলে বুশরা বিবিকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। দ্য নিউজ বলছে, বুশরা বিবির বিরুদ্ধে কিছু আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এনএবি ইমরান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা-তোশাখানা ও যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের তদন্তের উপসংহারে পৌঁছাতে তদন্তে গতি বাড়িয়েছে। এনসিএ’র  ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মামলা আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা হিসেবেও পরিচিত। এনএবি শিগগিরই এসব তদন্ত শেষ করে ইমরান খানের বিরুদ্ধে রেফারেন্স ফাইল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের রিপোর্টে বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ শাহজাদির দুর্নীতির খবর প্রকাশ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পিএমএলএন এর আত্তা তারার একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। সেখানে শাহজাদির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং এতে ইমরান খান ও বুশরা বিবির সম্পৃক্ততা নিয়ে কথা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি সূত্র গত বৃহস্পতিবার একটি পাবলিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, ফারাহ শাহজাদি ওরফে ফারাহ গোগি পিটিআই সরকারের সময় ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। ১০২ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৪ বিলিয়ন রুপি ফারাহ, তার স্বামী আহসান জামিল গুজ্জার এবং তাদের পার্টনারের নামে পড়ে আছে।

ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত গত ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। সেইসঙ্গে জরিমানাও করা হয় ইমরান খানকে। ওইদিনই ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেওয়া হয়। এরপর ইমরান খানকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। ইসলামাবাদ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে আদিয়ালা কারাগার।

পরবর্তী সময়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট গত ২৯ আগস্ট এ মামলায় ইমরান খানের সাজা স্থগিত করেন। তবে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় (সাইফার) ইমরান খানের রিমান্ড চলতে থাকায় তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.