তুরস্কের ফার্স্টলেডি এমিনি এরদোগান গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ইসরাইলের গণহত্যার মুখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রচেষ্টায় নিযুক্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় নেশনস লাইব্রেরির একটি প্রদর্শনী হলে তুর্কি রেড ক্রিসেন্টে (কিজিলে) একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ইসরাইলিদের উদ্দেশে এমিনি এরদোগান বলেন, গাজা বিপদের মুখে, আমরা বসে থাকতে পারি না। আপনি হয় বীরের মতো বাঁচুন নয়তো এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিন।
তিনি বলেন, তুরস্ক তাদের পূর্বপুরুষদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে রক্তপাত বন্ধ করার জন্য কাজ করছে। গাজা, ইউক্রেন, জেরুজালেম, ইয়েমেন, বাগদাদ, আলেপ্পো বা দামেস্ক যেখানেই হোক না কেন তুরস্ক কাজ করে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বের সব নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াই এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করি।
এমিনি এরদোগান বলেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য বর্ব অত্যাচার চালাচ্ছে। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর, বিশেষ করে শিশুদের ওপর পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে তারা নিষ্পাপ শিশুদের বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করছে। তারা মানবিক মূল্যবোধকেও হত্যা করছে।
এদিকে গাজার চলমান সংঘাতে বিরতি দেওয়ার জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন ও ইসরাইলি নেতারা সোমবার নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের সময় মানবিক কারণে গাজায় ইসরাইলের হামলায় কৌশলগত বিরতি এবং জিম্মিদের সম্ভাব্য মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনকে একজন সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি তিন দিনের বিরতির পরামর্শ দিয়েছেন কিনা? তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
ওয়াশিংটন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো শুরু থেকে ইসরাইল ও হামাসের সংঘাতে তেলআবিবকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছে বাইডেন প্রশাসন।