আগামীকাল দিল্লিতে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ । এরপর বাকি থাকবে আরেকটি ম্যাচ । এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে হিসাব মেলানো—এই বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ কী পেল আর কী পেল না ।
অর্জনের খাতায় এখন পর্যন্ত নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া একটি মাত্র জয় । এর পর থেকেই টানা হেরে চলেছে বাংলাদেশ দল। অথচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে জেতা সেই ম্যাচের আগে বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দেখিয়েছিলেন সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পুরোপুরি ব্যর্থ । শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে আজকের সংবাদ সম্মেলনে এসে তাই সাংবাদিকদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো কোচ হাথুরুসিংহেকে। দলের এই ব্যর্থতার দায় কতটুকু নেবেন তিনি—করা হয়েছিল এমন প্রশ্ন ।
এর উত্তরে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘এ দলের অন্য সবার মতো এই ব্যর্থতার দায় আমিও নিচ্ছি। আমরা সমর্থকদের হতাশ করেছি, একই সঙ্গে আমরা নিজেদেরও হতাশ করেছি । আমরা নিজেদের সেরা খেলা খেলতে পারিনি। কিন্তু প্রথম ম্যাচ থেকে এ পর্যন্ত কিছুই পরিবর্তন হয়নি । শুধু একটা যে জিনিস পরিবর্তন হয়েছে, সেটা আমাদের মাথার মধ্যে যা ঘুরছে, আমাদের চিন্তাভাবনা ।’
হাথুরুসিংহে এখানেই থামেননি। তিনি এরপর যোগ করেন, ‘আমাদের দক্ষতা কোথাও চলে যায়নি। তাই আমি মনে করি, আমরা অতিমাত্রার প্রত্যাশার সামনে নুয়ে পড়েছি । এই একটা বিষয় নিয়েই আমরা ভাবতে পারি। আমরা আসলে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি।’
সেরা খেলাটা খেলতে না পারার প্রশ্ন ধরেই এসেছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডার বারবার পরিবর্তনের বিষয়টি । সেটা কি ব্যাটসম্যানদের কিছুটা হলেও অস্থির করে তোলেনি? হাথুরুসিংহে বললেন, ‘বিষয়টি নিশ্চয়ই ব্যাটিং অর্ডারের নয়, তাই নয় কি? আপনি কত নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন, এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনি যেখানে ব্যাট করতে নামেন আর কততম ওভারে কখন ব্যাট করতে নামেন, তা ।’
হাথুরুসিংহেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের কোচের পদে আর থাকতে পারবেন কি না! এই প্রশ্নের উত্তরটা হাথুরুসিংহে দিয়েছেন এভাবে, ‘আমাদের সবাইকে আয়নার সামনে দাঁড়াতে হবে এবং দেখতে হবে কী ভুল হয়েছে । আর আমার কোচ হিসেবে থেকে যাওয়ার কথা—এটা আমার হাতে নয় । এই সিদ্ধান্ত বোর্ড নেবে ।’