বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নতুন ভিসা ইস্যু করা স্থগিত করেছে রয়েল ওমান পুলিশ। তবে স্থগিত করার কারণ তখন জানানো হয়নি। ঢাকায় নিযুক্ত ওমান দূতাবাস জানিয়েছে, ওমান কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই রাজনৈতিক গতি- প্রকৃতির নয়। বরং এটি ওমানি শ্রম বাজারের চাহিদা ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার একটি প্রয়াস। এটি বর্তমান শ্রম আইন অনুসারে শ্রমিক ও নিয়োগকর্তা উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদান স্থগিত সংক্রান্ত রয়াল ওমান পুলিশের জারি করা ঘোষণার বিষয়বস্তুর মূল প্রতিপাদ্য ওমানে বিদেশি শ্রম বাজার সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিচালিত সার্বিক সমীক্ষা পর্যালোচনার অংশবিশেষ। এটি ওমানি শ্রম বাজারের চাহিদা ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার একটি প্রয়াস। বর্তমান শ্রম আইন অনুসারে শ্রমিক ও নিয়োগকর্তা উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দূতাবাস জানায়, ভিসা প্রদান স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রেও সমভাবে কার্যকর করা হয়েছে এবং এটি আসলে একটি সাময়িক পদক্ষেপ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে যাতে এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে চলমান পর্যালোচনার ভিত্তিতে আবার ভিসা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা যায়।
দূতাবাসের মতে, পর্যালোচনা প্রক্রিয়াটি বেশ কিছু কারিগরি ও আইনি কাঠামোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এর লক্ষ্য প্রবাসী শ্রমিক ও নিয়োগকর্তার স্বার্থ রক্ষা করা। পাশাপাশি ওমানে বিদেশি শ্রম বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওমান অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও প্রশংসার সঙ্গে বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের ওমানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও পারস্পরিক অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পর্ক জোরদার করতে ওমান সর্বদা আগ্রহী।
দূতাবাস জানায়, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে নিশ্চিত করতে চাই, ওমান কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই রাজনৈতিক গতি- প্রকৃতির নয়। ওমান বাংলাদেশি প্রবাসীদের অবদানকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও প্রশংসার সঙ্গে স্মরণ করে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আন্তরিকভাবে মূল্যায়ন করে।