বিনোদন অঙ্গনে যাত্রা শুরুর পর নিজের জন্মদিন বেশ আয়োজন করে উদযাপন করতেন। কিন্তু এবার…
জন্মদিন আমার জন্য অনেক আনন্দের দিন। প্রতিবছর এই দিনে প্রথমেই নানুর হাত ধরে কেক কাটি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে তিনি অসুস্থ। যার কারণে মনটাও ভালো নেই। তাই জন্মদিনের কোনো আয়োজন করিনি। সবাই আমার নানুর জন্য দোয়া করবেন। তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে শুটিংয়ে ফিরলেন, কেমন লাগছে?
সত্যি বলতে কি, শুটিং সেটের আলাদা একটি আকর্ষণ রয়েছে। যার জন্য অনেক দিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু যখন সেটে গেলাম তখন মনে হলো, এই তো সেদিনই শেষ কাজ করেছিলাম। মনেই হয়নি এর মধ্যে পার হয়ে গেছে দুই বছর!
আপনার অভিনীত ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমাটি নিয়ে বলুন…
নতুন এই সিনেমার গল্পটি দারুণ। রেজা ঘটকের পরিচালনায় সিনেমাটিতে দেখানো হবে এক শিশু ও তার মায়ের গল্প। পুরো গল্প এখনই বলতে চাই না। সবাই হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখুক। তবে এটুকু বলতে পারি, খুব ভালো একটি প্রজেক্ট হচ্ছে।
এই সময়ে এসে কাজের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দিচ্ছেন?
আগে অনেক কাজ না ভেবেই করেছি। অনেক অনুরোধের ঢেঁকি গিলেছি কাজের ক্ষেত্রেও। প্রফেশনের বাইরে ব্যক্তিগত খাতিরে কাজ করেছি। এখন ‘না’ বলতে শিখেছি। একটা কাজ শুরুর আগে একশবার ভাবি। যার কারণে এখন গল্পনির্ভর কাজে মনোনিবেশ করছি।
তানিম রহমান অংশুর ‘খেলা হবে’ ছবিতে বুবলীর সঙ্গে হাজির হচ্ছেন। এতে নায়িকা ইমেজের ঘাটতি হবে না?
না, তা হবে কেন? আমাদের দেশীয় সিনেমায় কিন্তু আগেও অনেক তারকাশিল্পী একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। মাঝখানে হয়তো হয়নি। কিন্তু এখন হচ্ছে। সিনেমা জগতের সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত ঝামেলা নেই।
বিরতি শেষে অনেক সিনেমায় কাজ করছেন, প্রতিযোগিতাও বেড়েছে। এ বিষয়ে কিছু বলুন…
প্রতিযোগিতা থাকা ভালো। তাহলে ভালো কাজ হয়। আমিও চাই সবার সঙ্গে কাজ নিয়ে রেষারেষি হোক। তাহলে নিজের ভালোটা দিতে পারব।
এখন যেসব সিনেমা করছেন, তা কি পুরস্কারের জন্য?
পুরস্কার পেতে কে না ভালোবাসে। অন্য সবার মতো আমার কাজটি সম্মাননা পাক, তা আমি চাই। তাই তো সম্মাননা আমায় টানে। মিডিয়ায় কাজ শুরুর আগে একজন অভিনয়শিল্পীর ঘরে অ্যাওয়ার্ড দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম।