হাবিবুর রহমান ইলিয়াস, গাজীপুর
গাজীপুর মহানগরীর বাঙ্গালগাছ এলাকায় দুই ভাই শরিফুল ইসলাম ও শুক্কুর আলীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত এক চায়ের দোকানদারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তি জোড়া হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি বলে জানিয়েছে র্যাব-১।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর সদর থানাধীন শিমুলতলী বাজার সমরাস্ত্র কারখানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর র্যাব-১ কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো: ইয়াসির আরাফাত হোসেন। গ্রেফতারকৃত আব্দুল আউয়াল (৫১) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার বাশবুনিয়া গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর বাঙ্গালগাছ এলাকায় চায়ের দোকানদারি করেন।
মো: ইয়াসির আরাফাত জানান, গত ২০ অক্টোবর গাজীপুর মহানগরীর বাঙ্গালগাছ এলাকায় প্রকাশ্যে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতদের বাবা জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ওই ঘটনায় গাজীপুর র্যাব-১ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
ইয়াসির আরাফাত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, গাজীপুর মহানগরীর শিমুলতলী এলাকায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত চায়ের দোকানদার আউয়াল অবস্থান করছেন। পরবর্তীতে আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে আউয়ালকে গ্রেফতার করি। এ সময় তার থেকে একটি বাটন ফোন ও নগদ টাকা জব্দ হয়।
তিনি আরো জানান, আমরা তদন্ত করে জানতে পেরেছি যে, নিহত দুই ভাই এলাকায় বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদা তুলতেন। তারা ছিনতাই কাজেও জড়িত ছিলেন। গ্রেফতারকৃত আউয়ালের কাছ থেকে কিছুদিন আগে নিহত দুই ভাই ৫ হাজার টাকা চাঁদা নেন। গত মঙ্গলবার আবারও চাঁদা চাইতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আউয়াল ও আশপাশের কয়েকজন। পরবর্তীতে গ্রেফতাকৃত আউয়াল ও স্থানীয় ৩/৪ জন মিলে দুই ভাইকে আক্রমণ করে হত্যা করেন।
তিনি জানান, র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি জানায়, গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শফিকুল ইসলাম ও শুক্কুর আলীসহ ৪ জন একটি অটোরিকশা করে বাঙ্গালগাছ বাঁশবাজার এসে স্থানীয় বিল্লালের দোকান (বাঁশ রাখার পাশে) ভাঙচুর করে। এ সময় তারা মুদি দোকানেও ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয় দোকানদার জুলহাস ও মমিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আব্দুল আউয়ালসহ নাম না জানা আরো ৩/৪ জন চেইন ও ঘাসকাটা কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে দুই ভাইকে হত্যা করেন।