The news is by your side.

উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’

0 213

 

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানতে শুরু করেছে। বাতাসের গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার যা ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় হামুন।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মনোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ রাত ৯টার দিকে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারের প্রচণ্ড গতিতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৭টার পর তীব্রগতিতে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে। এতে ঝড়ো বাতাসে বহু গাছ উপড়ে পড়েছে। সমুদ্র সৈকত এলাকায় গড়ে ওঠা অসংখ্য ছোটখাটো কাঁচা দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে কিছুটা দুর্বল হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। উপকূলে আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার হতে পারে। ঝড়টি আজ রাতের মধ্যে বাংলাদেশের ভূখণ্ড অতিক্রম করে যেতে পারে। ফলে আজ সারা রাত দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিলো।

ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে পরবর্তী আট-দশ ঘন্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শেষ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে চট্টগ্রাম বন্দরকে ৭ নম্বর, কক্সবাজারকে ৬ নম্বর সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর এবং পায়রা ও মোংলাকে ৫ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী এবং উপকূলীয় চর ও দ্বীপগুলোকে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের নৌযানগুলোকে সাবধানে ও নিরাপদ অবস্থানে থাকার জন্য বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরে যেতে নিষেধকরা হয়েছে।

জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় হামুনের কেন্দ্রভাগ যখন স্থলভাগে পৌঁছাবে তখন এ ঝড়ে বাতাসের গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের মত, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.