পরিবেশের ক্ষতি হয়- এমন কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করতে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেন, পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে উন্নয়নকাজ পরিচালিত হলে তা টেকসই হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন তিনি।
প্রকল্পসমূহের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডারে ইনপুট প্রদান সংক্রান্ত কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ বলেন।
আজ রোববার ইউজিসি’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ কমিশনের সেমিনার কক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ইউজিসি’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
কর্মশালায় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে তৈরি প্রজেক্ট মনিটরিং (ভি.১০) সফটওয়্যার নিয়ে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর প্রয়োজনীয়তার নিরিখে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রয়োজন যাচাই না করে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভবন নির্মাণ করায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ভবন ফাঁকা পড়ে আছে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। অথচ আবাসিক হল নির্মাণ করা হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূর করা যেত।
অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, প্রকল্প প্রস্তাব সুচিন্তিত ও যথাযথ না হলে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তা মুখ থুবড়ে পড়বে। তিনি স্পেসিফিকেশন তৈরিতে সংশ্লিষ্টদের যথেষ্ট সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও প্রকল্প ব্যয় ৫০ কোটি টাকার অধিক হলে প্রকল্প প্রস্তাব দাখিলের পূর্বে অবশ্যই ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করা এবং ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন সম্পন্ন না করে অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তাব প্রেরণ না করতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবাদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে। মনিটরিং ও ইভালুয়েশনবিষয়ক সফটওয়্যারের ব্যবহার প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা গতিশীলতা আনয়ন করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি সকলকে নিরলসভাবে কাজ করার আহবান জানান। কর্মশালায় ইউজিসি এবং দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা অংশ নেন।