The news is by your side.

চীন-রাশিয়া বাণিজ্য শতভাগ ডলার মুক্ত ঘোষণা

0 87

কয়েক দশক ধরে বিশ্ব অর্থনীতি শাসন করছে মার্কিন মুদ্রা ডলার। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ ও লেনদেনে একচেটিয়া আধিপত্য ধরে রাখা এই মুদ্রার আধিপত্য ক্ষুণ্ণ করতে বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের চেষ্টা দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে চীন ও রাশিয়া কয়েক বছর ধরেই কাজ করে যাচ্ছে। এই উদ্যোগে সফলতাও আসতে শুরু করেছে।

এরই মধ্যে চীন-রাশিয়া বাণিজ্য প্রায় শতভাগ ডলারমুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। রুশভিত্তিক টিভি চ্যানেল আরটির অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ম্যাকসিম রেশেতনিকভ বলেছেন, ‘রাশিয়া-চীন বাণিজ্যে ডি-ডলারাইজেশন কার্যক্রম প্রায় শেষ, বেইজিং-মস্কো বাণিজ্য এখন ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্থানীয় মুদ্রা রুবল ও ইউয়ানে সম্পন্ন হচ্ছে।’

শুক্রবার বেইজিংয়ে রাশিয়া-চীন এনার্জি বিজনেস ফোরামের সাইডলাইনে রুশ মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, পশ্চিমা মুদ্রা থেকে মস্কো দ্রুত দূরে সরে যাওয়ার ফলে রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যে এখন ৭০ শতাংশই রুবল ও ইউয়ানে সম্পন্ন হচ্ছে। রেশেতনিকভ বলেন, ‘আমাদের বাণিজ্য পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

আমরা যদি সামগ্রিকভাবে বাণিজ্য সূচকের দিকে তাকাই, বর্তমানে আমাদের বাণিজ্যের ৬৮ শতাংশ রুবল ও ইউয়ানে পরিচালিত হয়, যেখানে চীনের সঙ্গে আমাদের ৯৫ শতাংশ বাণিজ্য রুবল ও ইউয়ানে নিষ্পত্তি হয়। পেমেন্ট চ্যানেল সমস্যার সমাধানও করা হয়েছে।’

তেল ও গ্যাস রপ্তানির মাধ্যমে রাশিয়া যে অর্থ আয় করে, সেই অর্থ আদায়ে দেশটি সুইফটের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু ইউক্রেন আক্রমণের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা ‘সুইফট’  থেকে রাশিয়াকে বাদ দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র দেশগুলো।

রুশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যায়, ২০২২ সাল থেকে চীনের সঙ্গে রাশিয়ার আমদানি ব্যয় বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে ডলারকে ছাড়িয়ে গেছে ইউয়ান। গত বছর থেকে মঙ্গোলিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান, তাজিকিস্তান, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ান বাণিজ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে ইউয়ান।

পশ্চিমা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পটভূমিতে ‘অবন্ধুসুলভ দেশগুলোর’  মুদ্রায় লেনদেন থেকে রাশিয়ার সরে আসার প্রচেষ্টা এখন স্পষ্টত দৃশ্যমান। রেশেতনিকভ বলেন, রাশিয়া-চীন বাণিজ্য ২০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অতিক্রম করে এই বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ২২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.