দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনও শঙ্কা নেই। তবে সব ধরনের শঙ্কা মাথায় রেখেই আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক উপায়ে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। সামনে নির্বাচন, সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং প্রস্তুতির বিষয়টি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সব ধরনের শঙ্কা মোকাবিলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় ২৪৮টি পূজামণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সব পূজামণ্ডপকেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। অতিগুরুত্বপূর্ণ ও কম গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে পূজামণ্ডপগুলোকে। সাতটি পূজামণ্ডপকে আমরা কম গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রেখেছি আর বাকিগুলোকে অতিগুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপ হিসেবে বিবেচনা করছি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পূজামণ্ডপগুলোয় ঢোকার সময় আর্চওয়ে থাকবে। বিশেষ নিরাপত্তার টিম থাকবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাইবারের মাধ্যমে কোনও স্বার্থান্বেষী মহল হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করতে পারে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাইবার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সব পূজামণ্ডপের সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ কোনও ধরনের সংবাদ পেয়ে থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করুন। ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং টিম এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করছে।
হাবিবুর রহমান বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে যেন বিসর্জন হয়, সে জন্য সবাই সচেষ্ট থাকবে। সমন্বয় সভায় এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও নৌ পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় আছে। বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও ধরনের সমস্যা তৈরি না হয়, সে জন্য সতর্ক অবস্থা তৈরি করা আছে।